উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা আরেক মালগাড়ির। সৌভাগ্যক্রমে দুটি গাড়িই যাত্রীবাহী গাড়ি না হওয়ায় হতাহতের সম্ভাবনা সেভাবে হয়নি। তবে যেভাবে দুটি মালগাড়ির (goods train) ইঞ্জিন ও কোচগুলি ছিটকে পড়ে দুর্ঘটনার জেরে, তা ফের একবার রেলের পরিচালন ব্যবস্থার উপরে প্রশ্ন উঠেছে। বাজেটে রেলের সুরক্ষা খাতে কোনও ঘোষণা করেননি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। সেই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের এই দুর্ঘটনা রেলযাত্রীদের নিরাপত্তায় মোদি সরকারের চূড়ান্ত অবহেলাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
ফতেপুরের (Fatehpur) পম্ভিপুরের কাছে একটি মালগাড়ি আপ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় পিছন থেকে আরেকটি মালগাড়ি এসে সেটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনার জেরে পাশের মাঠে ছিটকে যায় একটি মালগাড়ির গার্ডের কোচ (guard coach) ও অন্যটির দুটি ইঞ্জিন (engine)। লাইনচ্যুত হয় একাধিক মালগাড়ির কোচ। দুজন রেলকর্মীকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অনুজ রাজ ও শিবশঙ্কর যাদব নামে আহত দুই রেলকর্মীর আঘাত অবশ্য গুরুতর ছিল না।
দুর্ঘটনার জেরে আপ লাইনে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। কীভাবে এই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে তদন্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেলের আধিকারিকরা। যদিও ভোরবেলা দৃশ্যমানতা কম থাকার দাবি উঠেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে রেলের আধিকারিকরা যদিও দাবি করেছেন পরিচালনগত ত্রুটি কিছু ছিল না। কোনও অবহেলা ছিল না। মানুষের ভুলেই (human error) এই দুর্ঘটনা। এভাবে বারবার বিপদে পড়া সত্ত্বেও রেলে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার পথে হাঁটলেন না রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
–
–
–
–
–
–
–
–