সীমান্ত সুরক্ষায় BSF-কে আরও জমি দিচ্ছে রাজ্য: সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে

0
3

বিজেপির সব অভিযোগ নস্যাৎ করে সীমান্ত সুরক্ষায় BSF-কে আরও ২টি জায়গায় জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে BSF-কে জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়িতে ০.০৫ একর আর মালদহের নারায়নপুরে ১৯.৭৩ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে BSF-কে জমি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার- এই অভিযোগ করত কেন্দ্রের মোদি সরকার। সীমান্ত সুরক্ষার জন্য তাদের জমি প্রয়োজন বলে রাজ্যকে জানিয়েছিল বিএসএফ। জমি না পেলে কাজে সমস্যা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তারা। বিষয়টি নিয়ে ২৭ তারিখ নবান্নে (Nabanna) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়। ‘চেক পোস্টের’ জন্য নদিয়ার করিমপুরে ০.৯ একর জমি বিএসএফ-কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া এই হয়েছে। এবার জলপাইগুড়ি এবং মালদহে জমি দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে চা বাগানের অব্যবহৃত জমি হোমস্টে তৈরির জন্য ব্যবহার করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় চারটি চা বাগানের এই কাজে ব্যবহার করা সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

এছাড়াও চা পর্যটনের উন্নয়নে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের ২টি ও জলপাইগুড়ির একটি নতুন হোম স্টে কে চা বাগানের অব্যবহৃত জমি দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও বৈঠকে গৃহীত হয়েছে।

বিধানসভার আসন্ন বাজেট অধিবেশন নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাজেট প্রস্তাব ছাড়াও বাজেট সংক্রান্ত যে সব বিল অধিবেশনে আনা হবে বৈঠকে সেগুলি অনুমোদন করানো হয়েছে। আসন্ন অধিবেশনের আগে শুক্রবার বিধানসভায় সর্বদল বৈঠক ও পরে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। আপাতত দুই পর্বে কুড়ি দিন ধরে এই অধিবেশন চলবে বলে ঠিক হয়েছে।

পাশাপাশি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মন্ত্রিসভার সব সদস্যদের সঠিক সময়ে উপস্থিতি এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জ্যোৎস্না মান্ডি, শশী পাঁজা ও বীরবাহা হাঁসদাকে সম্মেলনে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।