একের পর এক রাজ্য ‘জয়ে’ ব্যস্ত মোদি নিজেকে লোকসভা নির্বাচনের আগে পশুপ্রেমী হিসাবে প্রমাণ করতে অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন। একাধিক শুটিংয়েরও আয়োজন করেছেন। আদতে তিনি বা বিজেপি সরকার যে বন্যপ্রাণ থেকে পশুর উপর কোনওভাবেই প্রতিক্রিয়াশীল নয়, তা স্পষ্ট হয়ে যায় দুবছর ধরে পশুর উপর অত্যাচার (Animal cruelty) সংক্রান্ত বিল নিয়ে সংসদে কোনও আলোচনা না হওয়াতেই। সোমবার সেই বিলটি নিয়ে আলোচনার দাবি জানান তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া (June Maliah)। তাঁর দাবি, বিলে পশুর উপর আইনে যে পরিবর্তনগুলি আনার দাবি জানানো হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিলটি আইনে পরিণত হলে অকারণে প্রাণীর উপর অত্যাচারের ঘটনায় লাগাম টানা সম্ভব। সব বিভাগ থেকে বিলের বিষয়বস্তুগুলি ছাড়পত্র পাওয়ার পরেও কেন সেগুলি নিয়ে আলোচনা হয়নি, প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ।
সম্প্রতি বাংলায় তথা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যপ্রাণ (wild life) থেকে পথ-প্রাণীর উপর অত্যাচারের নিদারুণ উদাহরণ দেখা গিয়েছে। কোথাও হাতিকে পাথরের আঘাতে মেরে ফেলা থেকে জেসিবি দিয়ে উত্তক্ত করার মতো ঘটনা, আবার কোথাও খাঁচাবন্দি চিতাকে উত্তক্ত করার মতো ঘটনা মানুষের পাশবিক প্রবৃত্তিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংসদে প্রাণীর উপর নির্যাতনের বিল (Animal Cruelty bill) ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা তুলে ধরলেন তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া (June Malian)। তিনি লোকসভায় ৩৭৭ ধারায় প্রশ্ন তোলেন কেন দুবছর ধরে এই আইন সংশোধনে আনা বিল নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি।
১৯৬০ সালে পশুর উপর অত্যাচার আইন লাগু হওয়ার পরে প্রায় ৬০ বছর তাতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। ২০২২ সালে প্রথমবার পরিবর্তনের (amendment) সুপারিশ করে বিল আনা হয়। সেখানে একাধিক কার্যকলাপকে পশুর উপর অত্যাচার বলে মান্যতা বলে এই আইনে অপরাধ বলে সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে বর্তমানে প্রাণীর উপর অত্যাচারে ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানাকে বাড়ানোর সুপারিশ ছিল। তৃণমূল সাংসদের (TMC MP) দাবি, যে সুপারিশগুলি ছিল তা বাস্তবে কার্যকর হলে কমত প্রাণীর উপর অত্যাচার (animal cruelty)। তার থেকেও বেশি, প্রাণীদের অত্যাচার করার মানসিকতার পরিবর্তন করা সম্ভব হত। সাংসদের দাবি, মন্ত্রিসভা, অন্তর্বর্তী সব কমিটি, বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংস্থার পক্ষ থেকে বিলটি ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়ার পরেও তা নিয়ে আলোচনায় কোনও আগ্রহই প্রকাশ করছে না মোদি সরকার।
–
–
–
–
–
–
–
–