মনিপুরের অশান্তির ঘটনায় উস্কানির দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)- যে অডিও টিপের ভিত্তিতে এই অভিযোগ সেই টেপটি সরকারি ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিকে (CFSL) খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিমকোর্ট। একটি কুকি সংগঠনের দায়ের করা অভিযোগের মামলার শুনানি সোমবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে হয়। সেখানেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মনিপুরের অশান্তির ঘটনায় উস্কানির দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের (N Biren Singh) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি কুকি সংগঠন। গত মঙ্গলবার দেশের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানানো হয়। কুকি সংগঠনের তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ (Prasenta Bhusan) মৌখিক আবেদন জানান। কুকি সংগঠন হিউম্যান রাইটস ট্রাস্ট তাদের অভিযোগে বলে, এন বীরেন সিংয়ের একটি বার্তালাপের রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, তিনিই মণিপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়াতে প্রত্যক্ষ উস্কানি দিচ্ছেন। শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মৌখিকভাবে এ নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে আর্জি জানান সংগঠনের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানানো হয়। আগে লিখিত আবেদন জমা দিন- আইনজীবী ভূষণকে বলেন প্রধান বিচারপতি। তারপর তা খতিয়ে দেখে তিনি তা খতিয়ে দেখবেন। যদি সত্যিই চরমতম দ্রুত শুনানির গুরুত্ব থাকে, তাহলে তা করা হবে। প্রশান্ত ভূষণ বলেন, যে অডিও অংশটি ট্রুথ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল, সেই রিপোর্ট তিনি আবেদনের সঙ্গে পেশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, আগে একটি লিখিত আবেদন জমা দিন, তারপর দ্রুত শুনানির বিষয়ে বিবেচনা করা যাবে। সেইমতো লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়।
এদিন শুনানির শুরুতেই বিচারপতি কুমার বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের নিমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতে নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলাম। আমি কি শুনানি থেকে সরে দাঁড়াব?’’ প্রশান্ত ভূষণ জানান, তাঁর বেঞ্চে শুনানিতে তাঁরা আপত্তি করছেন না। শুনানি শুরু হতেই কুকি সংগঠনের পক্ষ থেকে আইনজীবী প্রশান্ত ফের দাবি করেন দাবি করেন, বেসরকারি সংস্থা ‘ট্রুথ ল্যাব্স’-এর করা ফরেন্সিক পরীক্ষায় উল্লেখিত অডিও টেপের কণ্ঠের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের কণ্ঠস্বর শতকরা ৯৩ ভাগ মিলেছে। এর পরেই অডিও টেপটি সরকারি পরীক্ষাগার সিএফএসএল-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় দুই বিচারপতির বেঞ্চ। ফরেন্সিক পরীক্ষা করে দ্রুত শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
–
–
–
–
–
–
–
–