শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতীপুজো নিয়ে কুরুচিকর অপপ্রচার: বিজেপির উদ্দেশ্যকে জবাব তৃণমূলের

0
3

প্রথমে কলকাতার যোগেশচন্দ্র কলেজ। ফের সরস্বতীপুজোর দিন জেলার একাধিক কলেজে সরস্বতীপুজো (Saraswati puja) নিয়ে ধর্মীয় আবেগে উস্কানি (instigation) দেওয়ার খেলা বিজেপির। তবে তাতে যে আদতে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ কোনওভাবে নষ্ট করা যাবে না, স্পষ্ট করে দিল শাসকদল তৃণমূল। যেভাবে কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের পুজোর উদ্যোগকে নিয়ে কুরুচিকর অপপ্রচার (anti publicity) চালানো হচ্ছে, তারও জবাব দেওয়া হল শাসকদলের তরফে।

একদিকে অধ্যক্ষের মদতে যোগেশচন্দ্র ল কলেজে (Jogeshchandra Law College) একদল পড়ুয়া অশান্তির অভিযোগ তোলে। সরস্বতী পুজোর দিনও অশান্তি বন্ধ করার বদলে স্লোগান দিয়ে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা চলে সেখানে। ফের নদিয়ার হরিণঘাটায় (Haringhata) নির্দিষ্ট কিছু পড়ুয়া স্কুলে সরস্বতী পুজোয় বাধার অভিযোগ তোলে। সেখানেও বিষয়টিকে ধর্মীয় উস্কানির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা বিষয় নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে ছাড়েননি।

তবে রাজ্যের প্রশাসন প্রতিটি কলেজের বিষয়ই দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতায় কোনও রকম উস্কানিতে (instigation) অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি রাজ্যে। তবে এই ধরনের উস্কানির পিছনে বিজেপি নেতৃত্বের অভিসন্ধিকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, কিছু গল্পকথা ছড়ানো হচ্ছে। কোথাও পুজোয় সমস্যা নেই। যে রাজনৈতিকদলগুলি ধর্মনিরপেক্ষ (secular) তাঁদের কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন ধর্মের হবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাদের টার্গেট করে নিয়ে কুরুচিকর অপপ্রচার (anti publicity) চালানো হচ্ছে।

সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, পড়ুয়ারা হৈ হৈ করে পুজো করতে যায়। সেখানে জায়গা নিয়ে সমস্যা হয়। এর সঙ্গে ধর্মীয় ইস্যু তৈরি করে কলুসিত করার কোনও অর্থ নেই। এভাবে কলুসিত করে বিজেপি বাংলার মাটিতে পা রাখতে পারবে না।