ডুববে LIC-র মতো সংস্থা, নির্মলার বিমা নীতিতে তোপ তৃণমূলের

0
3

সাধারণ মানুষের উপর বিমায় জিএসটির (GST) বোঝা ২০২৪ সাল থেকেই চাপিয়েছিল মোদি সরকার। এবার সেই বিমাক্ষেত্রকে সম্পূর্ণ বৈদেশিক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করলেন নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। এমনিতেই ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু হওয়ার পরে বিমায় বিমুখ ভারতের অর্থনীতি। এবার দেশীয় বিমা সংস্থার থেকে বেশি সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদেশি সংস্থাগুলিকে, ১০০ শতাংশ লগ্নির পথ খুলে দিয়ে। কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ঘোষণার পরই বিমাক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রের (conspiracy) আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের।

উপার্যনের উপর বাড়তি চাপ দিয়ে জীবন বা স্বাস্থ্যের বিমায় এমনিতেই মধ্যবিত্তের ঝোঁকার প্রবণতা কম। ২০২৪ অন্তর্বর্তী বাজেটে প্রতিটি বিমাযোগ্য জিনিসে জিএসটি-র (GST) বোঝা চাপিয়ে বাড়তি খরচের বোঝা চাপানো হয় সাধারণ মধ্যবিত্তের উপর। ফলে এক ধাক্কায় এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কমে যায় গত আর্থিক বর্ষে। এবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত বিমাক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বৈদেশিক বিনিয়োগের (FDI) পথ খুলে দিলো কেন্দ্রের সরকার।

একদিকে জিএসটির বোঝায় ধুকতে থাকা ভারতীয় বিমা সংস্থা, অন্যদিকে বৈদেশিক বিনিয়োগে (FDI) এই ক্ষেত্রের পরিণতি কী হতে চলেছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রধান অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্রের (Amit Mitra) দাবি, বিমায় ১০০ শতাংশ বৈদেশিক বিনিয়োগের অর্থ সরকারি খাতের সব বিমা সংস্থা, এমনকি এলআইসি-র মতো সংস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া। সেই সঙ্গে একগুচ্ছ ভারতের বেসরকারি খাতের সংস্থারও একই পরিণতি। এবারন বিদেশী সংস্থা আসবে ১০০ শতাংশ ক্ষমতা নিয়ে আর সাধারণ মানুষের উপর জিএসটি থাকবে ১৮ শতাংশ। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম জিএসটি এই ১৮ শতাংশ থেকে শূন্যে নামিয়ে আনতে। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার তা খারিজ করে দিয়েছে। এখানেই প্রশ্ন, তাহলে বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) এনে মানুষের উপর জিএসটির (GST) বোঝা চাপিয়ে কার মুনাফা করার চেষ্টা চলছে। সেখানেই উঠে আসছে ষড়যন্ত্রের (conspiracy) তত্ত্ব।