অবশেষে তিনি প্রাক্তন। ঘরের মাঠ ইডেনেই জীবনের শেষ ম্যাচ খেললেন ঋদ্ধিমান সাহা। রঞ্জিট্রফির মরশুম শুরুর আগেই জানিয়ে ছিলেন এটাই শেষ মরশুম তাঁর। সেই মতই আজ ইডেনে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন বাংলার পাপালি। আর জীবনের শেষ ম্যাচও জয় দিয়েই শেষ করলেন তিনি। ইডেনে খেলা শেষে সতীর্থদের কাঁধে চেপে মাঠ ছাড়েন ঋদ্ধি। এবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চান ঋদ্ধি। নিজে মুখেই জানালেন তিনি।
ম্যাচ শেষে ঋদ্ধি বলেন, “ সত্যিই অনেকটা পথ পেরোলাম। প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। যে দলের হয়ে খেলেছি নিজের সেরাটা দিয়েছি। অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমার এই যাত্রাপথে যারা পাশে থেকেছে প্রত্যেককে ধন্যবাদ। এবার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পালা।“
ঋদ্ধি বিদায় ম্যাচে আবেগে ভাসেন দলের কোচ থেকে সতীর্থরা। এমনকি বিরাট বার্তা দিলেন ভারতীয় দলের তারকা বোলার সতীর্থ মহম্মদ শামি। পাপালির বিদায় নিয়ে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি বলেন, “ ঋদ্ধি সমসময় দলের জন্য খেলেছে। তরুণদের সাহায্য করেছে। সবচেয়ে ভাল বিষয় হল, দেশের হয়ে খেলার মাঝেও ঋদ্ধি সময় বার করে বাংলার হয়ে খেলেছে। ওর দায়বদ্ধতা দেখে বাকিদের শেখা উচিত। কেরিয়ারের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত ও একই রকম থেকে গেল। ভবিষ্যতের জন্য ওকে শুভেচ্ছা।“ বাংলার সতীর্থ অনুষ্টুপ মজুমদার বলেন, “ জুনিয়র ও সিনিয়র স্তরে আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। ভাল ব্যাটার হওয়ার পাশাপাশি উইকেটের পিছনেও ঋদ্ধি দুর্দান্ত। অসাধারণ সব ক্যাচ ধরেছে। ওর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।“
মহম্মদ শামি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন , “ ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তিকে আজ বিদায় জানাচ্ছি। ওর অসাধারণ উইকেটকিপিং কিছু অসাধারণ মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে, তোমার কৃতিত্ব পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।“
১৮ বছরের কেরিয়ারে ১২২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ঋদ্ধি। করেছেন ৬৪২৩ রান। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ২০৩। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩১৩টি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। করেছেন ৩৭টি স্টাম্প। ২০২২ সালে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা চলে যান ঋদ্ধি। দু’টি মরশুম সেখানে খেলার পরে আবার বাংলায় ফিরে আসেন তিনি ।
আরও পড়ুন- স্যান্টোসে ফিরেই কান্নায় ভাসলেন নেইমার
–
–
–
–
–
–
–