কেন্দ্রীয় বাজেট আসলে ভাঁওতা। এবং গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। এই বাজেটকে বিপর্যয় বলে ব্যাখ্যা করলেন রাজ্যের অর্থ উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)। কর ছাড় নিয়েও তাঁর অভিযোগ, বাজেটে (Budget) মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কোনও দিশা নেই। ফলে যে করের টাকা বাঁচবে, সেটা গিলে নেবে মুদ্রাস্ফীতি। ফলে মধ্যবিত্তের হাতে পেন্সিল- কটাক্ষ অমিতের।
এর পরেই কেন্দ্রীয় বাজেট ব্যাখ্যা করে অমিত মিত্র (Amit Mitra) প্রশ্ন তোলেন, “এই বাজেট কী করল? সামাজিক পরিষেবায় ১৬ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। আবাসনে কমানো হয়েছে ৪.৩৮ শতাংশ। সমাজ কল্যাণ এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষরা বিশ্বাস করুন বা না করুন, ৩ শতাংশেরও বেশি কাট অফ করা হয়েছে। তারপর সমাজ কল্যাণ এবং ৫ শতাংশ কমানোর কথা বলা হয়েছে।” অর্থাৎ সামজিক প্রকল্পের টাকা কমিয়ে লোক দেখানো কর ছড়া দেওয়া হয়েছে বলে মত রাজ্যের অর্থ উপদেষ্টার।
নির্মলার বাজেটকে ‘ধ্বংসাত্মক’, ‘জনবিরোধী ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দেন অমিত। তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে তিনি বলেন, বিমায় বিদেশি বিনিয়োগের ১০০ শতাংশ সুযোগ মিললেও কেন আমজনতার জন্য স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি কমানো হল না? এদিকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন থেকে আয়ে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি কমানোর কোনও দিশা নেই। এই পরিস্থিতিতে কর ছাড়ের সুবিধা পাবে না মধ্যবিত্ত। কারণ, এই টাকা গিলে নেবে মুদ্রস্ফীতি।
একই সঙ্গে বাজেটে খাদ্যে ভর্তুকি কমানো এবং যুব, মহিলা এবং কৃষকদের বঞ্চনার প্রতিবাদ করেন অমিত মিত্র। বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খাদ্য ভর্তুকি ১ শতাংশ কমানো। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার যুব, মহিলা এবং কৃষকদের জন্য কিছুই নেই।” রাজ্যের অর্থ উপদেষ্টার কথায়, এই বাজেটে দিশা নেই।
–
–
–
–
–
–
–