অমৃতস্নানে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা লুকোচ্ছে যোগী সরকার: বিস্ফোরক অভিষেক

0
3

কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সংখ্যা লুকোচ্ছে যোগী সরকার। নিহতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। শুক্রবার, দমদম বিমানবন্দরে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই দুর্ঘটনার জন্যে যোগী সরকারের অপদার্থতাকেই দায়ী করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, এই ঘটনা কোনও অবিজেপি শাসিত রাজ্যে হলে রাষ্ট্রপতিশাসন জারির দাবি করত বিজেপি (BJP)। বাংলার সরকারের সুষ্ঠুভাবে গঙ্গাসাগর মেলা পরিচালনার উদাহরণও তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ।

মহাকুম্ভে মৌনি অমবস্যায় অমৃতস্নানে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। পদপিষ্ট হয়ে ৩০জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে যোগী সরকার। তবে, বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। এই দুর্ঘটনা নিয়ে এদিন উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ধুয়ে দেন অভিষেক। বলেন, “খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। কখনও বলছে ৩০ জন। তখনও বলছে ৪০ জন। মহাকুম্ভে কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা গোপন করার চেষ্টা চলছে। গরিব মানুষের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই।!”

তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “আসলে প্রস্তুতি কম, ব্যবস্থাপনা বেশি। শুধু ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচারই করা হয়েছে। তার ফলেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। এঘটনা যদি বিজেপি বিরোধী রাজ্য, যেমন বাংলা বা তামিলনাড়ুতে ঘটত, তাহলে তো এতদিনে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা বলা হত!” তাঁর মতে, “মানুষ জীবদ্দশায় একবারই কুম্ভমেলায় যায়। অথচ সেখানে গরিব মানুষের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। সবকিছু নেতা আর বড়লোকদের জন্য। তাদেরকে খাতির করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তাদের জন্য রাস্তা পর্যন্ত খালি করে দেওয়া হচ্ছে। এরা ভাবে দেশটাকে কিনে রেখেছি। তার ফলেই এতগুলো প্রাণ চলে গেল।”

পাশাপাশি, বাংলার গঙ্গাসাগর মেলার উদাহরণ তুলে ধরেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। বলেন, “আমরাও তো এখানে গঙ্গাসাগর মেলা করছি। ১৪ বছরের সরকার। এখানে শুরু থেকেই মানুষের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়।”