একদিকে শহরে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দূষিত হচ্ছে তিলোত্তমার বায়ু। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করে সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রথম শহরের জলপথ পরিবহনে (water transport) আমূল পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছিলেন। এবার সেই প্রকল্পে বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) আর্থিক সহায়তায় তৈরি হচ্ছে মাস্টার প্ল্যান। তার সঙ্গে সঙ্গেই জলপথ পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে উপার্যনের পথ দেখাবে এই মাস্টার প্ল্যান।
জলপথে পণ্য পরিবহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিশ্ব ব্যাঙ্কের (World Bank) আর্থিক সহায়তায় মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। ২০৫০ সালে রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাব্য পরিমাণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কলকাতার জলপথ পরিবহণকে (water transport) আরও আধুনিক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর (Department of municipal and urban development) ও পরিবহণ দফতর (transport) যৌথ ভাবে পরিকল্পনা রূপায়ণ করবে। পরিকাঠামো তৈরি ও উন্নয়নে আনুমানিক খরচের সম্ভাব্য উৎস সংক্রান্ত রূপরেখাও থাকবে মাস্টার প্ল্যানে (master plan) থাকবে। অন্যদিকে স্থলপথে দূষণ কমাতে ব্যাটারি, বায়ো ডিজেল ও বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা, কলকাতা বন্দরকে কাজে লাগিয়ে পণ্য পরিবহণ বাড়ানোর রূপরেখার ওপরেও আলোকপাত করা হবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, রাস্তায় যে ভাবে গাড়ির চাপ বাড়ছে তাতে জলপথই (water transport) বিকল্প। সেজন্যেই এই মাস্টার প্ল্যান (master plan) তৈরি করা হচ্ছে। জলপথে পণ্য পরিবহণ বাড়াতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে বলে তিনি জানান। মন্ত্রী বলেন সুন্দরবনের বহু প্রত্যন্ত এলাকায় রো-রো ভেসেল পরিষেবা চালু হচ্ছে। কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় অনেক নতুন জেটি তৈরি করা হচ্ছে।
–
–
–
–
–
–
–
–