বাবার উপর ‘গোয়েন্দাগিরি’ করেই খুনের ছক নাবালকের! পরকীয়ার তত্ত্ব ওড়াল রাফিয়ার শ্বশুরবাড়ি

0
3

ইএম বাইপাসের ধারে তরুণীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় যে পরকীয়ার তত্ত্ব উঠে আসছিল, তা উড়িয়ে দিল মৃতার শ্বশুরবাড়ি। তাদের মতে, এরকম হতেই পারে না।

বৃহস্পতিবার, রাতে ইএম বাইপাসে (E M Bypass) রোমহর্ষক ঘটনা। গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে এসে ধারালো অস্ত্রের কোপে দেওয়া হয় রাফিয়া শাকিল (Rafiya Shakil) নামে ওই মহিলাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় NRS হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মাঝরাতে তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারী নাবালক। তার সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। অভিযুক্তের নাম ওয়াসিম আক্রম ও শাহজাদি ফারুখ। তাঁরা পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন কলিন লেনের বাসিন্দা। অভিযোগ ওঠে ওই নাবালকের বাবা ফারুক আনসারির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল রাফিয়ার। ফারুককে ফলো করেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ওই তিনজন। সেখানে তরুণীকে নিয়ে চা খাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই রাফিয়াকে ধরে একের পর এক কোপ মারে ওই নাবালক। তিনজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।

রাফিয়ার সঙ্গে বছর চারেক আগে বিয়ে হয়েছিল মোবিন আহমেদের। মোবিনের তুতো বোন রফিয়া। পরিবারের মধ্যেই বিয়ে হয় তাঁদের। তবে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা খারিজ করে রাফিয়া শাকিল (Rafiya Shakil) শেখের ভাসুর জানায়, “এমনটা হতেই পারে না।” শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানান, রাজাহাটের নারায়ণপুর এলাকায় স্বামী মোবিন আহমেদের সঙ্গেই থাকতেন রফিয়া। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালই ছিল বলে জানাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রফিয়া এবং মোবিন প্রায়ই একসঙ্গে বার হতেন। রাতে বাইরে খেতেও যেতেন। ঘটনার পর থেকে বিধ্বস্ত মোবিন।
আরও খবর: আদালতের সময়সীমার মধ্যেই মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদ থেকে ইস্তফা মানসের

রাফিয়ার আরেক ভাসুর মিরাজ জানান, আগে তাঁরা নারকেলডাঙাতেই থাকতেন। পরে উঠে আসেন নারায়ণপুরের বাড়িতে। মোবিনের সঙ্গে রফিয়ার কোনও অশান্তি ছিল না বলেই জানাচ্ছেন মিরাজ। তাঁর কাছে হত্যার কারণ স্পষ্ট নয়।

এদিকে রাফিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল ফারুক আনসারির পরিবারে। বিবাহিত রাফিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানতে পারেন ফারুকের স্ত্রী শেহেজাদি ও তাঁর নাবালক পুত্র। বাবার ওপর গোয়েন্দাগিরি শুরু করে নাবালক। দু’দিন আগে নাবালক পুত্র এবং স্ত্রী মিলে হত্যার ছক কষতে শুরু করেন বলেন অভিযোগ।