চুপি সাড়ে টেবিলের তলায় সিদ্ধান্ত নিয়ে গায়ের জোরে বিল পাস নয়- এক দেশ এক ভোট (One Nation One Election) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে দেশের সব রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে হবে, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, বিদ্বজ্জন সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিতে হবে, তারপরে সময় নিয়ে তা বিশ্লেষণ করতে হবে, সাফ দাবি জানালো তৃণমূল কংগ্রেস৷ নয়াদিল্লিতে সংসদীয় সূত্রের দাবি, শুক্রবার দিল্লিতে এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত দুটি বিল পর্যালোচনার জন্য গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটির (Joint Parliamentary Committee) বৈঠকেই এই দাবি জানান বিরোধী সাংসদরা৷ বিজেপির সাংসদরা চেয়েছিলেন এক দেশ এক ভোট নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কলেজে কলেজে গিয়ে এই উদ্যোগ সম্পর্কে জনচেতনা বাড়াতে৷ সূত্রের দাবি, এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল (TMC) সাংসদরা৷ বিল পর্যালোচনার সময়ে কোনওভাবেই জনচেতনা বাড়ানোর পদক্ষেপকে তারা সমর্থন করেন না, সাফ দাবি জানানো হয় তৃণমূলের তরফে৷
সংসদীয় সূত্রের দাবি, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) এবং সাকেত গোখলের (Saket Gokhale) দাবি মেনে নিয়েছে জেপিসি৷ সিদ্ধান্ত হয়েছে, সব রাজ্যে গিয়ে প্রথমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত সংগ্রহ করার পাশাপাশি দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (CJI), মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEO, ECI) এবং অন্যান্য কমিশনারদের মতামতও সংগ্রহ করবে জেপিসি (JPC)৷ এই পদক্ষেপ করতে সময় লাগবে জেনেই এক দেশ-এক ভোট সংক্রান্ত জেপিসির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয় নিয়েও এদিনের বৈঠকে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে সংসদীয় সূত্রের দাবি৷ জেপিসি (JPC) চেয়ারম্যান পি পি চৌধুরী এই বিষয় নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার (Speaker, Om Birla) সঙ্গে কথা বলবেন বলেও সংসদীয় সূত্রের দাবি৷
উল্লেখ্য, এক দেশ-এক ভোট সংক্রান্ত দুটি বিল নিয়ে আদৌ স্বস্তিতে নেই বিজেপি৷ বৃহষ্পতিবারই সরকারের ডাকা সর্বদল বৈঠকে মোদি সরকারের শরিক জেডি(ইউ) (JDU) দাবি জানিয়েছে এই সংক্রান্ত বিল দুটি পর্যালোচনার জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন৷ কোনওভাবেই যেন কোনও তাড়াহুড়ো না করা হয়, সাফ দাবি জানায় নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) দল৷ এর পরে শুক্রবার জেপিসির বৈঠকে যেভাবে শাসক শিবিরকে চেপে ধরেছেন বিরোধী সাংসদরা, তার পরে জেপিসির পিছু হটা ছাড়া অন্য কোনও পথ ছিল না বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত৷
এদিকে, ওয়াকফ সংশোধনী বিল (WAQF amendment bill) নিয়ে বিরোধী শিবিরের তরফে যে সব সুপারিশ ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল ডিসেন্ট নোটের মাধ্যমে, সেগুলিকে খারিজ করেছে শাসক শিবির৷ কি কারণে এই সিদ্ধান্ত তা জানানো হয়নি৷ মোদি সরকারের এই স্বেচ্ছাচারিতার তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী শিবির৷
–
–
–
–
–
–
–