একটা সময় এখানে বাঘ ছিল। বুদ্ধদেব গুহ-র ঋজুদা যারা পড়েছেন তারা বাঘের এই রুটের সঙ্গে খুবই পরিচিত। সময়ের ফেরে পথ বদলেছে শার্দুলকুল (tigers)। আবার সেই পুরোনো পথেই নতুন করে ঘাঁটি গাড়তে চলেছে বাঘেরা, এমনটা আশঙ্কা করেছিলেন বাংলার বন দফতরের আধিকারিকরা (forest officials)। এবার কার্যত সেই আশঙ্কাতেই শিলমোহর দিচ্ছেন প্রতিবেশী রাজ্যের বনাধিকারিকরাও। অর্থাৎ বাংলার লালামাটি এলাকায় গেলে এবার সুন্দরবনের মতোই দেখা মিলে যেতে পারে এক ডোরাকাটার।
বাঘিনী জিনাত (tigress Zeenat) বাংলায় এসে নাজেহাল করে দিয়েছিল বনদফতরের কর্মীদের। এরপর ফের ঝাড়খণ্ড পুরুলিয়া সীমান্তে বেড়েছে বাঘের আতঙ্ক। পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামের একাংশ বনাঞ্চলে বাঘের আনাগোনা জিনাতের সঙ্গেই বাড়বে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বাংলার বন দফতরের আধিকারিকরা। এরই মধ্যে পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে থাকা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে (royal bengal tiger) কেন্দ্র করে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!
এত ঘন ঘন বাঘের আনাগোনা দেখে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) পালামৌ টাইগার রিজার্ভের সহ অধিকর্তা প্রজেসকান্ত জেনার দাবি, “বাংলা সীমান্তে থাকা এই বাঘটি পালামৌ টাইগার রিজার্ভ (Palamau Tiger Reserve) থেকেই গিয়েছে।” বেশ কিছুদিন ট্রাপ ক্যামেরায় বাঘের যে ছবি ধরা পড়েছিল, তা পাঠানো হয়েছিল প্রতিবেশী সব রাজ্য ও আশেপাশে টাইগার রিজার্ভগুলিতে। সেখান থেকেই এবার প্রকাশ্যে জিনাতের ফেরোমেনের সূত্র ধরে বাংলায় আসা বাঘের পরিচয়।
বন দফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরার ছবিতে লক্ষ্যণীয় এই বাঘটি পালমৌ (Palamau) থেকে ছত্তিশগড় হয়ে বাংলার সীমান্তে ঢুকেছে। দীর্ঘ ৭০০ কিমি এই রাস্তা একসময় বাঘের করিডর (tiger corridor) হিসেবেই পরিচিত ছিল। পরে বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় সেই পথ হারিয়ে গিয়েছিল। নতুন করে জঙ্গলের বিস্তারের জেরে ফের সেই পুরনো করিডর নতুন করে খুলে গেল।
–
–
–
–
–
–
–