অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মানস চক্রবর্তী (Manas Chaktraborty)। শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন মানস।
২০১৯-এর পয়লা নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের (WBMC) রেজিস্ট্রার পদে মানসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু অবসরের পাঁচ বছর পরেও রেজিস্ট্রারের পদে ছিলেন তিনি। কাউন্সিলকে অন্ধকারে রেখে অবৈধভাবে পুনর্নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। ইস্তফা দিয়ে প্রাক্তন রেজিস্ট্রার বলেন, “হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছি।”
রেজিস্ট্রার পদে মানসের (Manas Chaktraborty) বহাল থাকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে সম্প্রতি মামলা দায়ের হয়। বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী, সময়সীমা পরিয়ে যাওয়ার পরেও পদে থাকতে গেলে রাজ্য সরকারের আগাম অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ৭ ফেব্রুয়ারি মেডিক্যাল কাউন্সিলে নিয়োগের পরীক্ষা রয়েছে। তার আগে কী ভাবে রেজিস্ট্রার পদে রয়েছেন মানস? প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী।
এটি বেআইনি বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। কী ভাবে মানস এত বছর ওই পদে রয়ে গেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বলেন, “সরকারের থেকে মেডিক্যাল কাউন্সিল বড় নয়। কাউন্সিলের সদস্যেরা মহান পেশায় রয়েছেন। তাই তাঁদের মহান ভাবেই কাজ করা উচিত।“ ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন রেজিস্ট্রারকে নিয়োগ করা হবে বলেও জানায় উচ্চ আদালত। শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে মানসকে অপসারণ করা হবে ও তাঁর সমস্ত বেনেফিট রদ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–





























































































































