মূল্যবৃদ্ধির আঁচে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে। চাহিদা কমছে বাজারে। ফলে মার খাচ্ছে উৎপাদন। আর তার শোচনীয় প্রভাব এসে পড়েছে কর্মসংস্থানে। চাকরি নেই, বেকারত্বের জ্বালা বেড়েই চলেছে দেশের সর্বত্র। আচ্ছে দিনের কাণ্ডারি বিগত ১১ বছরে কোনও সমাধান সূত্রই দিতে পারেননি। বাজেটের মুখে কেন্দ্রের তথ্যই তুলে ধরেছে দেশের বেহাল কর্মসংস্থানের চিত্র। মোদি-রাজে অশনিসঙ্কেত উৎপাদন ক্ষেত্রে।
কেন্দ্রের মোদি সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, উৎপাদন ক্ষেত্রের চাকরিতে ব্যাপক ধস নেমেছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে। কর্মসংস্থান গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১০-১১ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে কর্মসংস্থান। কাজ হারিয়েছেন অন্তত ১২ লক্ষ মানুষ। দেশের আনইনকর্পোরেটেড সেক্টরের বা অনথিভুক্ত ক্ষেত্রে এই করুণ চিত্রই উঠে এসেছে কেন্দ্রের রিপোর্টে। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের দেওয়া এই তথ্যে বাজেটের আগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে দেশে।
পরিসংখ্যান বলছে, সরকারি খাতায় নথিভুক্ত নয় এই সমস্ত সংস্থাগুলি। সংস্থাগুলি মূলত ব্যক্তি মালিকানাধীন কিংবা অংশীদারিত্বে চলে। মোদি জমানায় এ ধরনের সংস্থায় কর্মী সংখ্যা প্রভূত হারে কমেছে। সম্প্রতি বার্ষিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এনএসও। সেই তথ্যেই দেখা গিয়েছে, মোদি জমানায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই ক্ষেত্রে ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ মানুষ চাকরি করছেন। ২০১০-১১ অর্থবর্ষে মনমোহন জমানায় সেখানে চাকরি করতেন ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ মানুষ। বিগত ১৪ বছরে কর্মসংস্থান কমে গিয়েছে ১২ লক্ষ। ১৪ বছরে দেশে অনথিভুক্ত সংস্থা ৪২ লক্ষ বাড়ার পরও কেন এত মানুষ কাজ হারালেন, সেটাই এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন। ২০১০-১১ অর্থবর্ষে ১ কোটি ৭২ লক্ষ ছিল অনথিভুক্ত সংস্থার সংখ্যা। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ১৪ লক্ষ। কিন্তু কর্মসংস্থান বাড়েনি, বরং কমেছে। মানুষের রুটি-রুজির সংস্থান কমেছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, মোদি সরকারের নীতিগত ব্যর্থতার কারণেই শোচনীয় এই হাল। নোট বাতিল, জিএসটি চালু, তারপর কোভিড পর্বে অপরিকল্পিত লকডাউনই এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন তাঁরা। মোদি সরকারের ভুল নীতির কারণে লাটে উঠেছে বহু সংস্থা। নতুন নতুন সংস্থা গড়ে উঠলেও তা দাঁড়াতে পারেনি। তার ফল ভুগছে দেশের মানুষ। বাড়ছে বেকারত্বের জ্বালা।
আরও পড়ুন- সল্টলেকে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য!
–
–
–
–
–
–
–





























































































































