যোগেশচন্দ্র কলেজ নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। সরস্বতী পুজো করতে দিচ্ছে না, এটা হতে পারে না।সাফ জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুক্রবার তিনি স্পষ্ট বলেন, ওখানে লড়াইটা হচ্ছে কারা করবে, কোথায় করবে।বরং তার অভিযোগ, যোগেশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ নিজে বিজেপির লোক। তাই অন্য ধর্মের একজনের নাম সামনে নিয়ে এসে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দিচ্ছে বলে যে রাজনীতি করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। যোগেশচন্দ্র কলেজে বিজেপির অধ্যক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য ধর্মের নাম নিয়ে মিথ্যাচার করছেন।যে মুসলমান ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, সে নিজেই তো সরস্বতী পুজোর আয়োজক।মিথ্যাচার করে ভিত্তিহীন গুজব বিজেপির পক্ষ থেকে ছড়ানো হচ্ছে।
যদিও যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের নজরদারিতে করতে হবে সরস্বতী পুজো। আজ, শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। কোথায় পুজো হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দুই কলেজের প্রিন্সিপাল। নিরাপত্তায় সেখানে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। সরস্বতী পুজোর সমস্তটা ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিচারপতির নির্দেশ, সরস্বতী পুজো হবে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসারের নজরদারিতে। পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ডে কলেজ এবং যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ কোথায় পুজো করবে সেটা ঠিক করবেন অধ্যক্ষরা বলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ।আর পুজো ও বিসর্জন নিয়ে যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় সশস্ত্র পুলিশকর্মী মোতায়েন রাখার নির্দেশও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
–
–
–
–
–
–
–
–