বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে ইডেনে রঞ্জিট্রফির শেষ ম্যাচে নামছে বাংলা। বাংলার প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব। রঞ্জিতে নক আউটে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বাংলার। আর তাই বৃহস্পতিবার ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামলেন বাংলার উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। রঞ্জির মরশুম শুরুর আগেই ঋদ্ধিমান জানিয়েছিলেন এটাই ক্রিকেট কেরিয়ারে শেষ মরশুম তাঁর । আর সেই মত এটাই শেষ ম্যাচ তাঁর। আর তাই ইডেন গার্ডেন্সে জীবনের শেষ ম্যাচে নামার আগে বাংলার পাপালিকে সংবর্ধনা দিল বাংলার ক্রিকেট সংস্থা সিএবি। আবেগি বার্তা ভারতের পারক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এদিন রঞ্জি ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ঋদ্ধিকে সংবর্ধনা দেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ঋদ্ধির হাতে বাংলা দলের সব ক্রিকেটারের সই করা একটি জার্সি তুলে দেওয়া হয়। ফুলের তোড়া ও উত্তরীয় দেওয়া হয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে। এছাড়াও কাটা হয় কেক।
এদিন ঋদ্ধির শেষ ম্যাচ নিয়ে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দুর্দান্ত একটা কেরিয়ার। ঋদ্ধি অনেককে উদ্বুদ্ধ করেছে। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর এত বছর খেলা কম কৃতিত্বের নয়। ওকে অনেক শুভেচ্ছা।” এদিন সংবর্ধনার পর দলের বাকি ক্রিকেটারেরা একে একে জড়িয়ে ধরেন শিলিগুড়ির পাপালিকে।
এদিকে ঋদ্ধির শেষ ম্যাচে আবেগি বার্তা ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “ ঋদ্ধিমান সাহাকে ওর সফল কেরিয়ারের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। ও যা অর্জন করেছে তার জন্য ওর গর্বিত হওয়া উচিত। বাংলার হয়ে তার শেষ খেলার জন্য ঋদ্ধিকে শুভকামনা।“
১৮ বছরের কেরিয়ারে ১২২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ঋদ্ধি। করেছেন ৬৪২৩ রান। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ২০৩। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩১৩টি ক্যাচ নিয়েছেন বাংলার পাপালি। করেছেন ৩৭টি স্টাম্প। দীর্ঘদিন বাংলার রঞ্জি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ঋদ্ধি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড রয়েছে পাপালির।
আরও পড়ুন- রঞ্জিতে কোহলিকে দেখতে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে কুম্ভমেলার পরিস্থিতি
–
–
–
–
–
–
–