তিন তালাক বিরোধী আইনে মুসলিম পুরুষদের বিরুদ্ধে কতগুলি এফআইআর হয়েছে, কেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা সুপ্রিম কোর্টের

0
2

তিন তালাক প্রথা বাতিল করেছিল কেন্দ্র। সেই আইনে তিন তালাকের ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। দেশের শীর্ষ আদালত এই সকালের কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল, তিন তালাক বিরোধী আইন প্রয়োগ করে মুসলিম পুরুষদের বিরুদ্ধে কতগুলি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এই আইনের অধীনে মুসলিম পুরুষদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত ফৌজদারি মামলার মোট সংখ্যা জানানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রকে।

২০১৯ সালের আগস্টে সাংবিধানিক বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে তিন তালাক প্রথা বাতিল ও অকার্যকর ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। মুসলিম মহিলা (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইন ২০১৯ মোতাবেক তিন তালাককে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে তিন বছরের কারাবাসের শাস্তি বিধান করে।

বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের সমন্বয়ে গঠিত প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে এই মর্মে নির্দেশ দেয়, ২০১৯ সালে আইন লাগু হওয়ার পর প্রথম কোন এফআইআর নথিভুক্ত হয় এবং এখন পর্যন্ত কতগুলি চার্জশিটের সংখ্যা রেকর্ড হয়েছে তা উপস্থাপন করতে। সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ করে দেশের গ্রামীণ এলাকায় দায়ের করা এফআইআরগুলির সংখ্যা জানতে চায়।

তিন তালাক বিরোধী আইন কার্যকরের পাঁচ বছর পরে সুপ্রিম কোর্টের আবেদন হয়, অনেক আবেদনকারী ‘অর্ধ-তালাক’ হিসাবে জীবনযাপন করছেন।অ্যাডভোকেট নিজাম পাশা, আবেদনকারীদের পক্ষে ছোয়াল করে ২০১৯ আইনের সাংবিধানিকতাকে চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি বলেন, আইনটি বিবাহবিচ্ছেদের বিরোধী। এই মর্মে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার অধীনে এটি অপরাধযোগ্য। জবাবে অ্যাডভোকেট নিজাম পাশা বলেন, আইপিসি ধারা ৫০৬, একজন স্বামীর দ্বারা তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়াকে অপরাধী বলে বিবেচিত করে না। সলিসিটর জেনারেল ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, আইনটি মুসলিম মহিলাদের তাদের স্বামীদের দ্বারা পরিত্যাগ করার বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল।

নারীদের সুরক্ষার জন্য এটি ন্যূনতম দরকার। মুখে তিন তালাক উচ্চারণ করার পরের মুহূর্তে তিনি আপনার স্ত্রী নন। তাকে আপনার জীবন থেকে, আপনার বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, এটা ঠিক নয়।

এরপর পাশা ২০১৭ সালে শায়রা বানো মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন সুপ্রিম কোর্টে। তিন তালাক কোনও আইনি প্রভাব ফেলেনি বলে বর্ণনা করেন। শুনানির পর প্রধান বিচারপতি খান্না মৌখিকভাবে মন্তব্য করেছিলেন যে আদালতের কক্ষে উপস্থিত একজনও আইনজীবী তিন তালাককে ভাল জিনিস বলবেন না। কিন্তু এই অভ্যাসকে অকার্যকর করার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানা জরুরি। আদালত ১৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।