নন্দীগ্রামে আগে শহিদদের নামে হাসপাতাল হবে তারপর বাকি জায়গায় আপনি মন্দির তৈরি করুন। নন্দীগ্রামে পল্লি উৎসবে এমনই দাবি তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে তিনি বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম নন্দীগ্রামে শহিদদের নামে হাসপাতাল করে দেব। সেই অনুযায়ী মানুষ সাহায্য করেছেন। মহেশ্বেতা দেবী টাকা দিয়েছিলেন। মানুষের টাকায় তহবিল তৈরি হয়েছিল। কম পয়সায় জমি বিক্রি করেছিলেন অনেকেই। সমাজসেবার জন্য তারা জমি বিক্রি করেছিলেন। কারণ, তারা জানতেন সেখানে হাসপাতাল হবে। এখন দেখা গিয়েছে কোনও এক ব্যক্তি সেই জমিটি ট্রাস্টের নামে না করে নিজের নামে করে নিয়েছেন।
কুণাল এদিন অভিযোগ করেন, নিজের নামে জমি মানে তো বিজেপির নামে হতে পারে না। ওই জমিতে শহিদের রক্ত, ওই জমিতে শহিদ পরিবারের চোখের জল রয়েছে। মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে, বিশ্বাসঘাতকতা করলে চলবে না। ওই জমিতে আগে হাসপাতাল করতে হবে বাকি অংশে কেউ মন্দির করুক, তাতে আপত্তি নেই। এদিন পল্লি উৎসবে হল গণবিবাহ।উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ, শেখ সুফিয়ান, বাপ্পাদিত্য গর্গ, বিডিও এবং অন্যান্য নেতৃত্ব।এদিন ২২ জোড়া বিয়ে হয়।
তার সাফ কথা, ব্যক্তি মালিকানার জমিতে মন্দির বা মসজিদ যা খুশি হতেই পারে। কিন্তু সাধারণের তহবিলে কেনা জমিতে প্রতিশ্রুতি মেনে, জনতার আবেগকে মর্যাদা দিতে আগে শহিদদের নামে হাসপাতাল হোক, পরে বাকি জমিতে মন্দির হতেই পারে। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম নন্দীগ্রামে শহিদদের নামে হাসপাতাল করে দেব। সেই অনুযায়ী মানুষ সাহায্য করেছেন। মহেশ্বেতা দেবী টাকা দিয়েছিলেন মানুষের টাকায় তহবিল তৈরি হয়েছিল। কম পয়সায় জমি বিক্রি করেছিলেন অনেকেই। সমাজসেবার জন্য তারা জমি বিক্রি করেছিলেন কারণ তারা জানতেন সেখানে হাসপাতাল হবে। এখন দেখা গেছে কোন এক ব্যক্তি সেই জমিটি ট্রাস্টের নামে না করে নিজের নামে করে নিয়েছেন।
তিনে এদিন অভিযোগ করেন, নিজের নামে জমি মানে তো বিজেপির নামে হতে পারে না। ওই জমিতে শহিদের রক্ত ওই জমিতে শহিদ পরিবারের চোখের জল রয়েছে। মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে বিশ্বাসঘাতকতা করলে চলবে না। ওই জমিতে আগে হাসপাতাল করতে হবে বাকি অংশে কেউ মন্দির করুক। তাতে আপত্তি নেই। এদিন এখানে ২২ জোড়া বিয়ে হয়।
জমি আন্দোলনের পর নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় শহিদ মিনার ও হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি কেনা হয়। ঠিক হয়, ট্রাস্ট তৈরি করে ওই ট্রাস্টের নামেই জমি রেজিস্ট্রেশন করা হবে। জমি আন্দোলনে নিহতদের স্মৃতিতে শহীদ মিনার তৈরি হয়। সিদ্ধান্ত হয়, ফাঁকা জমিতে আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। কিন্তু সেই জমিতে এখন রামমন্দির নির্মাণ করতে চাইছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর তাই নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। বস্তুত এই বিষয়টি নিয়ে নন্দীগ্রামের তারাচাঁদবাড় মাঠে এদিন পল্লি উৎসবের মঞ্চে এসে কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করে এলাকার সমস্ত গোষ্ঠীর তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। আসেন শেখ সুফিয়ান, আবু তাহের, বাপ্পাদিত্য গর্গ, জেলা পরিষদের সহ সভাপতি সুভাষিণী কর, কর্মাধ্যক্ষ মানস পন্ডা, তরুণ জানা, সামসুল ইসলাম প্রমুখ।
শেখ সুফিয়ান বলেন, পরের বছর এই মঞ্চে ৫০ জোড়া বিয়ে হবে। বিয়ের আসরে ছিলেন চন্দিপুরের বিধায়ক ও অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। পরে এসে কুণালের সঙ্গে যোগ দেন প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি, কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি, প্রাক্তন বিধায়ক অমিয় ভট্টাচার্য, ছাত্রনেত্রী জয়া দত্ত প্রমুখ।
আরও পড়ুন- ‘২ ব্যাগ মমতা’, বইমেলায় মুখ্যমন্ত্রীর বই নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে
_
_
_
_