শহরে হেলে পড়া বহুতল ভাঙতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন পুলিশ ও পুরকর্মীরা। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বৃহস্পতিবার ট্যাংরার নির্মীয়মাণ হেলে পড়া বহুতল ভাঙতে যান তারা। এলাকায় ঢুকতেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদের। বহুতলের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। তাদের দাবি, আগে থাকার বিকল্প ব্যবস্থা করে দিতে হবে। পুনর্বাসন দিতে হবে। তার পর বাড়ি ভাঙতে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এতো মহা মুশকিল। হেলে পড়লে সমস্যা, ভাঙতে গেলে সমস্যা। সবটা তো আর পুরসভা ও প্রশাসনের হাতে নেই। বড় কোনও বিপদ ঘটে গেলে কে দায়িত্ব নেবে? বাসিন্দাদের তো সহযোগিতা করতে হবে।
ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে সম্প্রতি একটি নির্মীয়মাণ বহুতল পাশের বহুতলের দিকে হেলে পড়ে। এর পরই গত সোমবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ট্যাংরায় হেলে পড়া নির্মীয়মাণ বহুতলটি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। পুরসভা ওই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত বাড়ির মহিলারাই এই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারা বলেন, আমাদের বাড়ি ভেঙে দিলে আমরা কোথায় যাব? আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাই প্রাণ থাকতে আমরা এই বাড়ি ছেড়ে যাব না।’ পাশের বাড়ির বাসিন্দারাও এই বিক্ষোভে শামিল হন।দুপুর পর্যন্ত হেলে পড়া বাড়ি ভাঙার কাজ বিক্ষোভের কারণে শুরুই করতে পারেননি পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বহুতলটি ভেঙে পড়ার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। ট্যাংরা থানার তরফে এলাকায় মাইকিংও শুরু হয়। ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে নির্মীয়মাণ পাঁচতলা বহুতল এক দিকে হেলে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পাশেই প্রায় সমান উচ্চতার আর একটি বহুতল রয়েছে। তার গা ঘেঁষে কাত হয়ে পড়ে বহুতলটি। নির্মীয়মাণ অবস্থায় থাকায় ওই বহুতলে বাসিন্দা কেউ ছিলেন না। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাড়িটি ভাঙতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে খানিকটা বিব্রত পুরসভার কর্মীরা।পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশের টিম পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের দাবিতে অনড়।
–
–
–
–
–
–
–
–
–