কেকেআরের সহকারী কোচের প্রস্তাব কেন ফিরিয়েছিলেন? ফাঁস ঋদ্ধিমানের

0
2

দেশের হয়ে ৪০টারও বেশি টেস্ট খেলেছেন।মাঠে ফিল্ডিং করার সময় অবিশ্বাস্য কিছু ক্যাচ তালুবন্দি করেছেন, যা ক্রিকেট বিশ্বের মনে চিরঠাঁই পেয়েছে। আইপিএলেও খেলেছেন দাপটের সঙ্গে।এরই পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও সমান সাবলীল। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার সেই ঋদ্ধিমান সাহা এবার নিজের গ্লাভস জোড়া তুলে রাখতে চলেছেন। আগামিকাল কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন ইডেনে। প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব। একসময় অভিমানে বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ত্রিপুরায়। সেখান থেকে আবার ফিরেছেন অবসরের বছরটা নিজের রাজ্য টিমের হয়ে খেলবেন বলে।এরপরের গন্তব্য? ক্রিকেট জীবন শেষ করার পর কি কোচিংয়ে আসবেন? কেকেআরের সহকারী কোচের প্রস্তাব কেন ফিরিয়েছিলেন?সেই গোপন তথ্য এবার ফাঁস করলেন শিলিগুড়ির ছেলে।

ঋদ্ধিমান বলেছেন, সারা ক্রিকেট জীবন ধরে একটাই জিনিস বিশ্বাস করেছি, যদি কেউ আমাকে কোনও কাজ দেয়, সেটার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেব। মানসিক ভাবেও তৈরি করব নিজেকে।আমি বিশ্বাস করি যে শুধুমাত্র এই একটা পথেই সাফল্য আসে। আমি কোচিং করানোর জন্য মানসিক ভাবে তৈরি নই। সেই কারণে কেকেআরে কোচিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমি জানি, ওটা একটা দারুণ সুযোগ ছিল। তবু নিইনি। তার একটাই কারণ ছিল, কোচিংয়ে আসার জন্য আমার এখনও কিছুটা সময় লাগবে। যাতে পূর্ণমাত্রায় নিজেকে কোচ হিসেবে মেলে ধরতে পারি।শুধু কোচিংই নন, ধারাভাষ্য বা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করার জন্যও তৈরি নন ঋদ্ধিমান।

আপাতত তার একটাই লক্ষ্য, বাংলাকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়া। যা পরিস্থিতি, বাংলার নকআউট যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই। অনেক অঙ্ক মিললে তবে মিলতে পারে রঞ্জি নক আউটের টিকিট। ঋদ্ধি কিন্তু পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে সেরাটা দিতে প্রস্তুত। তার বক্তব্য, আমি যখনই মাঠে নেমেছি, একটা লক্ষ্য সামনে রেখেছি, যে ভাবেই হোক না কেন, জিততে হবে। এই ম্যাচেও সেটা বদলাবে না। জানি, আমাদের নকআউটে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কিন্তু কোনও ম্যাচ এই মানসিকতা নিয়ে খেলা যায় না। মাঠে নেমে জিতে কিছুটা সম্মান অর্জন করতে চাই।আপাতত বাংলার হয়ে শেষ ম্যাচ কতটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে তার কেরিয়ারে সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।