ক্লাসরুমের (Classroom) ভিতরে বিয়ের আসর নিয়ে দিনের শেষে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুললেন রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যা্লয় ‘ম্যাকাউট’-এর হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের অ্যা প্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নাটকের রিহার্সাল দিচ্ছিলেন তিনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। যদিও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছিলেন, এটা সিলেবাসের একটি প্রজেক্ট।
ক্লাসরুমের (Classroom) ভিতরে বিয়ের আসরে ‘বর’ কলেজেরই প্রথম বর্ষের ছাত্র (Student)। আর ‘কনে’ অ্যা প্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। এই চমকপ্রদ বিয়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল শোরগোল রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়লয় ‘ম্যাকাউট’-এর হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানান, কেন ক্লাসরুমে এক পড়ুয়ার সঙ্গে তিনি মালাবদল ও সিঁদুর দান করলেন, তা ওই মহিলা অধ্যাপকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মহিলা অধ্যাপিকাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে, ছাত্রের সঙ্গে ‘বিয়ে’র অভিযোগ উড়িয়ে পায়েল দাবি করেন, ফ্রেশার পার্টির জন্য একটি নাটকের পরিকল্পনা করেছিলেন পড়ুয়ারা। সেই নাটকের ‘বিয়ের’ দৃশ্যের রিহার্সাল হচ্ছিল। আৎ সেটাই ক্যামেরাবন্দি করা হয়। এর পরেই অধ্যাপিকার অভিযোগ, তাঁকে বিপদে ফেলতেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন বলে জানান তিনি।
পায়েলের অভিযোগ, “মানুষ কী পর্যায়ে নামতে পারে, সেটা কল্পনারও বাইরে। নিজে প্রধান হওয়ার জন্য এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেলের কথা ঢাকা দেওয়ার জন্য স্রেফ একটা বিভাগের ড্রামা ক্লিপসকে ব্যবহার করতে পারে…জানা ছিল না। বন্ধুত্ব ছাড়াও মনুষ্যত্বের নোংরা উদাহরণ।“
–
–
–
–
–
–
–
–