বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে (UP) হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়ার পরিবর্তে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত চিকিৎসক। এমারজেন্সি ওয়ার্ডে রিলস-এ মজে রইলেন ডাক্তার, চোখের সামনে চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু ৬০ বছরের প্রৌঢ়ার। হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি করেও বাঁচানো গেল না। প্রায় পনেরো মিনিট ধরে এমারজেন্সি ওয়ার্ডের বেডে শুয়ে ছটফট করলেন প্রৌঢ়া, কিন্তু তাঁকে দেখার সময় হলো না কর্তব্যরত ডাক্তারবাবুর। তিনি ছিলেন আশেপাশেই, তবে ব্যস্ত ছিলেন মোবাইলের রিলস দেখতে। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী জেলা হাসপাতাল।
মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করা যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা সে মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা হোক বা সে রাজ্যের হাসপাতালে ডাক্তারের গাফিলতিতে ছটফট করতে করতে রোগীর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা। বিজেপি শাসিত রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চূড়ান্ত অব্যবস্থা। চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় এবার শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। মঙ্গলবার দুপুরে প্রবেশ কুমারী নামে এক রোগিণীকে মৈনপুরী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্ট্রেচারে শুইয়ে রোগীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পর ১৫ মিনিট কেটে গেলও তিনি চিকিৎসা পাননি অভিযোগ। যদিও সামনে নার্স, ডাক্তার সকলেই বসে ছিলেন। ছটফট করতে করতে চোখের সামনে রোগীর মৃত্যু হয় অথচ ডাক্তার তখন ব্যস্ত মোবাইলে রিলস দেখতে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক বসে বসে নার্সদের কয়েকটি নির্দেশ দেন। কিন্তু নিজে উঠে গিয়ে কোনও রোগীকেই দেখবার প্রয়োজন বোধ করেননি। পাশাপাশি মৃতার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে যখন ডাক্তারের কাছে যান যুবক তখন চিকিৎসক তাঁকে থাপ্পর মারেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে আর সেখানেই দেখা গেছে রোগী কাতরাচ্ছেন অথচ ডাক্তার চেয়ারে বসে মোবাইল ঘেঁটে চলেছেন। উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালের এই কান্ড ঘিরে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–