৩০ দিনের প্যারোল রাম রহিমকে! যাবজ্জীবন সাজায় ১২ বার মুক্তি

0
4

ধর্ষণ ও ধর্ষণ-খুনের মতো অপরাধে ফাঁসিই উপযুক্ত সাজা, সওয়াল করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মতো একবার রাজ্য হিসাবে বাংলাই অপরাজিতা বিলের মাধ্যমে সেই সাজা আইন হিসাবে আনার পথে হেঁটেছে। বাংলার এই চিন্তা ভাবনা কতটা সঙ্গত ফের একবার প্রমাণ মিলল হরিয়ানার স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিমের (Ram Rahim) টানা ৩০ দিনের প্যারোলে মুক্তিতে। এমনকি এবার তিনি নিজের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শির্ষার (Sirsa) ডেরাতেও ফিরে যেতে পারবে রাম রহিম। তার মতো জঘন্য অপরাধীর প্যারোলে (parole) বারবার মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় স্পষ্টত প্রমাণিত এই ধরনের অপরাধী যাবজ্জীবনের (life imprisonment) সাজায় থাকলে যে কোনও সময়েই বেরিয়ে বাইরে চলে আসতে পারে।

নিজের শিষ্যদের ধর্ষণে অভিযুক্ত হরিয়ানার (Haryana) ধর্মগুরু রাম রহিম। ২০১৭ সালে দুই শিষ্যকে ধর্ষণে ২০ বছর যাবজ্জীবন সাজায় (life imprisonment) দণ্ডিত হন তিনি। শুধুমাত্র ধর্ষণ নয়। ২০১৬ সালে এক সাংবাদিকের খুনেও অভিযুক্ত রাম রহিম। আশ্চর্যজনকভাবে ২০১৭ সালে জেলের সাজা পাওয়ার পর থেকে মাত্র সাত বছরে ১১ বার প্যারোলে (parole) মুক্তি পেয়েছে রাম রহিম। ২০২৫ সাল পড়তেই প্যারোলে মুক্তির সংখ্যাটা ১২ ছুঁয়েছে। আর এবারে একেবারে টানা ৩০ দিনের প্যারোল পেয়েছে সে। যেন জেলে থাকার থেকে বেশি বাইরেই থেকেছে ধর্ষণ ও সাংবাদিক খুনের মতো পাশবিক অপরাধে দণ্ডিত হরিয়ানার ধর্মগুরু। এবারে শির্ষার (Srisa) ধর্মস্থানে সরাসরি নিজের অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করতে না পারলেও উপদেশ দিতে পারবেন তিনি, আদালতের নির্দেশ মতো।

আর জি করের সাজা ঘোষণায় সঞ্জয় রাইয়ের আমৃত্যু কারাবাসের সাজা হওয়ায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, এই ধরনের অপরাধীরা যাবজ্জীবন সাজা (life imprisonment) পেলে বাইরে বেরিয়ে আসবে। আবার অপরাধ করবে। কার্যত রাম রহিমের ১২ বার প্যারোলে (parole) মুক্তি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যাবজ্জীবন সাজায় কত সহজে জেলের বাইরে ইচ্ছামতো বেরিয়ে আসা যায়। এখানেই রাজ্যের শাসকদলের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রতি প্রশ্ন, দেশের প্রত্যেক নাগরিককে তিনি জবাবদিহি করতে বাধ্য কীভাবে এই বিচার ব্যবস্থার উপর দেশের মানুষ আস্থা রাখবেন। নারীর সম্মান ও নিরাপত্তার থেকে অপরাধীকে নিরপত্তা দেওয়ায় বেশি দায়িত্বশীল মোদি সরকার, দাবি তৃণমূলের।