দেশ জুড়ে নয়া আতঙ্ক গুলেন বারি সিনড্রোম। ইতিমধ্যে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। মহারাষ্ট্রে একজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর। আবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতেও দুই শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিবৃতি প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বলা হয়েছে, কেউ যেন আতঙ্কিত না হন। রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, ‘ গুলেন বারি’ সিনড্রোম কোনও বিরল রোগ নয়। এরআগেও এই রোগে অনেক আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা এই বিষয়টির দিকে নজর রাখছি।‘
নারায়ণ স্বরূপ নিগম আরও জানিয়েছেন,’ মূলত অ্যাকিউট ফ্লাসিড প্যারালাইসিস বা এএফপি-র কারণে এই রোগ হয়। সাধারণত ১৫ বছর বয়সিদের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ দেখা যায় । ‘ বর্তমানে বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে আট এবং নয় বছরের দুই শিশু পার্ক সার্কাসের শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে । তাদের মধ্যে একজন ২ সপ্তাহ ধরে রয়েছে ভেন্টিলেশনে । তবে স্বস্তির বিষয় এই রোগের আতঙ্কের হলেও ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে চিকিৎসকেরা ।
এটি মূলত স্নায়ু রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে সবার প্রথমে হাত-পা ঝিনঝিন করতে শুরু করে। তারপর ধীরে ধীরে হাত-পা অসাড় হতে থাকে। সেইসঙ্গে হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হয় । নিশ্বাস নিতেও সমস্যা তৈরি হয় । অনেক সময় মুখ বেঁকে যায় । বিরল স্নায়ুরোগের ফলে বুকে জ্বালা এবং হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সেইসঙ্গে রক্তচাপের পরিমাণ অত্যাধিক হারে বেড়ে যায়। তাই শারীরিক দুর্বলতা, হাঁটাচলায় সমস্যা অনুভব করলেই রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখতে হবে।গুলেন বারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হলে বারবার হাত ধুতে হবে । রাস্তার কাঁটা ফল অথবা স্যালাড একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বাড়ির খাবার খাওয়া উচিত । উপসর্গ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
–
–
–
–
–
–
–
–
–