এবার কোটি মানুষ আসবেন, বই বিক্রি বাড়বে: ৪৮তম বইমেলার উদ্বোধনে আশা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

0
2

কলকাতা বইমেলায় গত বছর ৩০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। ২৭ লক্ষ মানুষ বইমেলায় এসেছিলেন। এবার তার চেয়ে বেশি বই বিক্রি হবে। ৫০ লক্ষ মানুষ আসবেন। সংখ্যাটা কোটিতেও পৌঁছতে পারে। মঙ্গলবার, ৪৮তম আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করে আশা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায় বই হল বৃক্ষ। তাঁর আমলেই স্থায়ী প্রাঙ্গণ পেয়েছে বইমেলা (Kolkata Book Fair)। এবার বইমেলা কর্তৃপক্ষের তরফে সাহিত্যিক আবুল বাশারকে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

 বইমেলার (Kolkata Book Fair) উদ্বোধন করে বইপ্রীতির কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, “আমরা বই, বইমেলাকে বলি, বইবৃক্ষ। বৃক্ষ যেমন হাজার হাজার বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকে নিঃশব্দে। বৃক্ষ কিন্তু অনেক ঘটনার সাক্ষী থাকে। বৃক্ষ কথা বলতে পারে না। শুনতে পায়, দেখতে পায়। বই কিন্তু কথা বলে, বই কিন্তু দেখতে পায়। আজও যতই ডিজিটাল আসুক, বইয়ের কথা কেউ ভুলতে পারি না। যেবাড়িতে বই সাজানো থাকে না, কী কী রকম একটা লাগে। বই ফ্রেন্ড, ফিলোজফার অ্যান্ড গ্রাইড। বই আমাদের প্রেরণা, আমাদের আশা, আমাদের দিশা। সারা পৃথিবীর হোক, দেশ হোক, রাজ্য় হোক, সমস্ত নথি বই থেকে পাই। তাই বইমেলাকে আমরা এত ভালোবাসি।” সবাইকে বই পড়ার আহ্বান তিনি।

এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর ৩০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। ২৭ লক্ষ মানুষ বইমেলায় এসেছিলেন। এবার আশা করি, তার চেয়ে বেশি বই বিক্রি হবে। আরও বেশি মানুষ আসবেন, ৫০ লক্ষ, এককোটিও হতে পারে। কারণ, মানুষ বইমেলাকে ভালবাসেন।

মমতা জানান, “আগে অস্থায়ী বইমেলা ছিল। প্রতি বছর কোথায় বইমেলা হবে, তা নিয়ে একটা চিন্তা থাকত। এখন স্থায়ী বইমেলা প্রাঙ্গণ রয়েছে।“ মমতা বলেন, “ফ্রাঙ্কফুট বইমেলা খুবই জনপ্রিয়। আমি ফ্রাঙ্কফুট, মিউনিক গিয়েছিলাম। অন্যন্য় শহরেও গিয়েছিলাম। আমি খুব ভালো করেই জানি। তবে আমাদের দেশে কলকাতা আন্তর্জাতির বইমেলা অন্যতম সেরা বইমেলা। জার্মানির সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের বসুর গভীর যোগাযোগ ছিল।  তাঁর মেয়ে অনিতা জার্মানিতে থাকে। আমি দেখা করেছিলাম। নেতাজিকে স্যালুট করি।“

এবার বইমেলা কর্তৃপক্ষের তরফে সাহিত্যিক আবুল বাশারকে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এই বিষয়টি নিয়ে মমতা মজার ছলে বলেন, আবুল বাশারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ২ লক্ষ টাকা বেড়ে গেল। কারণ, তিনি এই পুরস্কার পেলেন। উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত জার্মানির প্রতিনিধির উদ্দেশে মমতা বলেন, “জার্মান, আমার অভিনন্দন আপনাদের ফুটবলারকে দেবেন। ওঁরা খুবই জনপ্রিয়। আমরা ফুটবল খুব ভালবাসি। এখানে অনেক বড় বড় ক্লাব রয়েছে। ফুটবল বিশ্বকাপ,  দেখেন এখানে। সকলে খেলা ভালবাসেন।“