কলকাতায় ধৃত যোগীরাজ্যের ৫ দুষ্কৃতীই উচ্চশিক্ষিত! জানালেন জয়েন্ট CP ক্রাইম

0
2

যোগীরাজ্যের যে দুষ্কৃতীরা সোমবার কলকাতায় অস্ত্র-সহ ধরা পড়ে তারা সকলেই উচ্চশিক্ষিত। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) STF-এর তৎপরতায় সোমবার রাতে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে বৈঠকখানা লেন থেকে ৫ জনকে ধরে কলকাতা পুলিশ। উদ্ধার হয় ২টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১৫ রাউন্ড গুলি। মঙ্গলবার, সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার (Rupesh Kumar)। তাহলে কি ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যে উচ্চশিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান নেই? সেই কারণেই অপরাধ জগতে পা! উঠছে প্রশ্ন।

রূপেশ কুমার (Rupesh Kumar) জানান, প্রথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ডাকাতির উদ্দেশ্যেই ২ দিন আগে কলকাতায় এসেছিল এই উত্তরপ্রদেশের ৫ বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেগুলির একটির গায়ে ‘মেড ইন ইটালি’ লেখা রয়েছে। দেশি আগ্নেয়াস্ত্রের তুলনায় অনেক উন্নত ওগুলি। অস্ত্রগুলি পাচার করার জন্য আনা হয়েছিল, নাকি নাশকতার ছক ছিল সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের থেকে কোনও নথি মেলেনি। শুধু একজনের থেকে একটি রেল টিকিট মিলেছে।

জয়েন্ট সিপি জানান, ধৃতরা সকলেই উচ্চশিক্ষিত। তাদের নাম রুকেশ সাহানি, শিবশঙ্কর যাদব, আদিত্য মৌর্য্য, রাহল যাদব ও দেবাং গুপ্তা। এদের মধ্যে রুকেশই মূল পাণ্ডা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ বিটেক, কেউ বিজ্ঞানে স্নাতক, কেউ বাণিজ্যবিভাগে স্নাতকোত্তর। একজন ITI ইঞ্জিনিয়ার! এই ৫ জনের বাইরে ওই চক্রের আর কেউ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও খবর: পার্থকে শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অনুমতি আদালতের  

কয়েকমাস আগেরবার শিয়ালদহের প্রায় একই জায়গা থেকে অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ মেলে। সেই সময়ও ভিন রাজ্যের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার ধৃতদের সঙ্গে আগের ঘটনার কোনও যোগ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এইভাবে বারবার অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে কলকাতার নিরাপত্তা! উত্তরে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা আশ্বাসের সুরে বলেন, পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয়, অপরাধীরা যে কোনও রাজ্যেই যাতায়াত করে। সব রাজ্যেই অপরাধ হচ্ছে। এরা কলকাতায় একটি লজে শুধু আশ্রয় নিয়েছিল। সুতরাই বাংলা সুরক্ষিত নয়, এটা ভাবার কোনও কারণ নেই।

তবে, উচ্চশিক্ষিত যুবকদের এভাবে অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান নেই? সেই কারণেই অপরাধ জগতে পা? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।