আজ ৪৮-তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী, থিম কান্ট্রি জার্মানি

0
3

অপেক্ষার অবসান, মহানগরীতে শুরু হতে চলেছে বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের অন্যতম প্রিয় বই উৎসব। বিশ্ব বইমেলায় বিশ্ববাংলার মিলনে আজ ৪৮-তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন (48th International Kolkata Book Fair)। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলা প্রাঙ্গণ (Boimela Prangan) এবছরের IKBF – এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২৮ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বইপ্রেমীদের জন্য এই জমজমাট আয়োজন। এবছরের থিম কান্ট্রি জার্মানি (Germany)। উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন ভারতে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ডক্টর ফিলিপ আকারমান, গ্যোটে ইনস্টিটিউট দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অধিকর্তা ডক্টর মার্লা স্টুকেনবের্গ, বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবুল বাশার, গিল্ড সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে- সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের আয়োজনে আগামী বারো দিন ধরে দুপুর বারোটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বইয়ের সঙ্গে পথ চলার যাত্রা শুরু।

সারা বছর মোবাইলে মুখ গুজে ব্যস্ত থাকা আমজনতার জন্য বইমেলা নিঃসন্দেহে এক খোলা হাওয়ার মতো। বই প্রেমী মানুষের উন্মাদনাকে গুরুত্ব দিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর বইয়ের সমাহার সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক হাজারের বেশি প্রকাশকের বই মিলবে এবারের মেলায়। ভারতের প্রায় সব রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা থাকার পাশাপাশি জার্মানি, ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, পেরু, আর্জেন্টিনার মতো দেশের স্টল থাকবে। কম বেশি প্রায় প্রত্যেক স্টলেই বিশিষ্টদের সঙ্গে আলাপচারিতার সুযোগ মিলবে। এ বছরের বই মেলার থিম কান্ট্রি যেহেতু জার্মানি, তাই জার্মান স্থাপত্যের অনুকরণে দুটি গেট করা হয়েছে। বিশিষ্ট জার্মান ব্যক্তিত্বদের নামে মেলায় সরণির নামকরণ করা হয়েছে। প্রধান গেট সলিল চৌধুরী এবং ঋত্বিক ঘটকের স্মরণে। জীবনানন্দ দাশ এবং নজরুল ইসলামের নামেও গেট থাকছে। এবছরের বইমেলায় শিশুদের জন্য বিশেষ দিন এবং বয়স্কদের জন্য সিনিয়র সিটিজেন ডে পালন করা হবে। পাশাপাশি লটারি জিতে ১ হাজার টাকা মূল্যের বুক কুপন পাওয়ার সুযোগও থাকছে। এক হাজারের বেশি বইয়ের স্টল থাকছে, তবে রাজনৈতিক সংগঠনের নামে কোন স্টল নেই। প্রত্যেকবারের মতো এবারেও আলাদা করে ফুড কোর্ট রাখা হয়েছে। বইমেলা চত্বর জুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কূটনৈতিক আবহের কারণে বাংলাদেশের তরফে এবারের কলকাতা বইমেলায় কোনও স্টল নেই। এবছরে মেলার সময়সূচি এবং তথ্যের জন্য এবারে বিশেষ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। কিউ আর কোড স্ক্যান করে নিজের পছন্দের স্টল খুঁজে নিতে পারবেন বইপ্রেমীরা।