দু’দিনের সফরে চিনে(china) গিয়েছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক দফতরের প্রধান লিউ জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠকও হয়েছে তার। জানা গিয়েছে, লাদাখে( ladakh) সীমান্ত চুক্তির বিষয়ে দুই দেশ যে ঐক্যমতে এসেছে, তার বাস্তবায়ন নিয়ে কথা হয় দু’পক্ষের। পাশাপাশি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্বেগজনক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের। চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও একটি বৈঠক হওয়ার কথা তার।
এই আবহে রবিবার লাদাখ সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের আলোচনা হয়। বেআইনি দখল সংক্রান্ত এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত ২৭ ডিসেম্বর। চিন জানায়, উত্তর-পশ্চিম চিনে দু’টি নতুন প্রদেশ তৈরি হয়েছে— হেয়ান প্রদেশ এবং হেকাং প্রদেশ। শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর স্বশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন এই দু’টি নতুন প্রদেশের কথা ঘোষণা করে তারা চিনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং স্টেট কাউন্সিলও এই দু’টি নতুন প্রদেশে অনুমোদন দিয়েছে বলে দাবি করা হয়।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানুয়ারির শুরুতে জানিয়েছিলেন, ওই ‘তথাকথিত প্রদেশগুলি’র একটি অংশ লাদাখের মধ্যে পড়ছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে বেআইনি ভাবে চিনা দখলদারি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
এ ছাড়া তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের উপরে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে বেজিং(beijing)। ভারত সীমান্তের অনতিদূরে তৈরি করা হচ্ছে বাঁধটি। তা নিয়ে ইতিমধ্যে বেজিংয়ের সঙ্গে একপ্রস্ত কূটনৈতিক কথাবার্তা সেরে নিয়েছে নয়াদিল্লি।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, উচ্চ অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্রহ্মপুত্রের নিম্ন অববাহিকায় কোনও ক্ষতি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে চিন। মিস্রীর বেজিং সফরকালে এ বিষয়ে আরও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
–
–
–
–
–
–
,-