প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলার আপামর জনসাধারণের জীবনযাত্রার উদযাপন রেড রোডে। বাংলার কোণায় কোণায় যে সংস্কৃতির ধারা বহমান, তারই নিদর্শন বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা হল রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। অভিবাদন গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেই উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করলেন বিদেশী অতিথিরাও।
৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day)সেনাবাহিনীর বায়ু, স্থলবাহিনী ও সামরিক বাহিনীর অভিবাদন গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও সাংসদরাও উপস্থিত ছিলেন। সেইসঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন দেশের অতিথিরা।
রেড রোডে (Red Road) কুচকাওয়াজে (parade) বরাবরই ভারতীয় সেনার একটি প্রাধান্য থাকে। তবে যে বাংলার মাটিতে এই কুচকাওয়াজ প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে, তারই সংস্কৃতিরও প্রদর্শন হয়। ঠিক যেমন রবিবারের কুচকাওয়াজে পাহাড়ের চা বাগানের (tea garden) মানুষের কথা উঠে এলো। তেমনই উঠে এলো সুন্দরবনের (Sunderban) জঙ্গলে বনবিবির নাম গাঁথা। জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা তাদের সংস্কৃতিকে নৃত্য গীতের মাধ্যমে তুলে ধরলেন। কখনও ফুটে উঠলো চা পাতা তোলায় স্থানীয় মানুষের আনন্দ দুঃখের কাহিনী। আবার কখনও বাঘের উপদ্রবে সুন্দরবনের মানুষের বনবিবির শরণাপন্ন হওয়ার কাহিনী।
বরাবরই নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আমলে বাংলার মানুষের নিরাপত্তায় যেভাবে পুলিশে ও নিরাপত্তা বাহিনীতে মহিলাদের নিয়োগ হয়েছে, তার প্রদর্শন হল রেড রোডের কুচকাওয়াজে। পথ নিরাপত্তা থেকে স্থানীয় নিরাপত্তায় মহিলা পুলিশ বাহিনীর যে বাইক বাহিনী প্রতিনিয়ত মানুষকে নিশ্চয়তা প্রদান করে, সেই বাহিনীর প্রদর্শন উঠে এলো রেড রোডে। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (RAF) যে মহিলা বাহিনী তৈরি হয়েছে তার বর্ণাঢ্য প্রদর্শন হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে।
–
–
–
–
–
–
–