পদ্ম সম্মানে (Padma Award)বিজেপি শাসিত রাজ্যকে প্রাধান্য, ফের বঞ্চনা বাংলার সঙ্গে। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশের অন্যতম শীর্ষ অসামরিক সম্মান ঘোষণা হতেই বাংলাকে বঞ্চনার ছবিটা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠলো। ১১৩ জন পদ্মশ্রী প্রাপকের মধ্যে বাংলা থেকে পুরস্কার পেলেন হাতেগোনা কয়েকজন। তার মধ্যে আবার কার্তিক মহারাজকে ‘আধ্যাত্মিকতা’র জন্য ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ পুরস্কার তাঁর কোন কাজের জন্য? আধ্যাত্মিকতার নামে ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করা নাকি বিজেপি তোষণের পুরস্কার পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কে এই কার্তিক মহারাজ? যাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হিংসার অভিযোগ রয়েছে। এই কার্তিক মহারাজ ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দ প্রকাশ্যে বিজেপির হয়ে ভোট করান। তাই সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁকে পুরস্কৃত করল বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে বর্ষীয়ান নৃত্যশিল্পী অভিনেত্রী মমতা সম্পর্কে পদ্মশ্রী দেওয়া হল। এত বছর তাঁর শিল্পের কদর করল না কেন্দ্র, অথচ ২০২৪ সালে অভিনেতা তথা বর্তমানের বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী পদ্ম পুরস্কার পাওয়ার পরই মমতা শঙ্করের সম্মানিত হওয়া কি নেহাত কাকতালীয়? নাম ঘোষণা হতেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে মিঠুন ঘনিষ্ঠতার কারণেই শিল্পীর পদ্ম লাভ হয়েছে। শুধু তাই নয় পদ্মভূষণ -পদ্মবিভূষণ তালিকায় ব্রাত্য বাংলা। আবার এমন সব শিল্পপতিদের পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে যাঁদের কার্যত সাধারণ মানুষ প্রায় চেনেনই না, এমনকি সমাজ সেবামূলক বা উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ তাঁরা করেছেন এমন দৃষ্টান্ত সম্প্রতিক অতীতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলায় কি প্রতিভা কম পড়েছে? জবাব দিক কেন্দ্র।
পদ্ম পুরস্কারের তালিকা প্রকাশিত হতেই দেখা গেল পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ তিন ক্যাটাগরিতে বিজেপির শাসিত রাজ্য থেকে একাধিক নাম রয়েছে। কিন্তু বাংলায় শুধুমাত্র হাতে গোনা কয়েকজনকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে। সরকারি পুরস্কারেও রাজনীতিকরণের ছাপ স্পষ্ট। এবছর পুরস্কার পাচ্ছেন ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারপারসন অরুন্ধতী ভট্টাচার্য। তিনি যদিও বাঙালি, কিন্তু বাংলায় থাকেন না। অর্থাৎ প্রাপ্য সম্মান হোক কিংবা পাওনা টাকা, মোদি সরকারের আমলে বরাবরের মতো এবারেও বঞ্চনার শিকার বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের পদ্ম পুরস্কারে গেরুয়া রাজনীতির রং স্পষ্ট। কী জবাব দেবে মোদি সরকার?
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–