ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে দুই পন্থা: অস্ত্রের টাকা দেওয়া বন্ধ ট্রাম্পের

0
1

এখনই যুদ্ধ না থামালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে – ক্ষমতায় আসার আগেই রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সদ্য মসনদে বসা ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আর রাষ্ট্রপতি পদে জয়ের পরে হুঙ্কার দিয়েছিলেন, একদিনের মধ্যেই যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন। কার্যত এবার সেই পথেই ট্রাম্পের প্রশাসন। রাশিয়ার (Russia) জন্য শুল্ক নীতি নেওয়া মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনকেও (Ukraine) অস্ত্র সরবরাহ করা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতরের।

সম্প্রতি শপথ অনুষ্ঠানের সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প দাবি করেন রাশিয়ার উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপাতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন। রাশিয়া (Russia) থেকে আমদানি করা সামগ্রীতে আরও বেশি শুল্ক দেওয়ার পাশাপাশি নতুন চুক্তির ক্ষেত্রেও ভাববে ট্রাম্পের প্রশাসন, এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হয়।

তবে একপক্ষের উপর কড়া হয়েই থেমে থাকেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। প্রশাসনে এসেই ঘোষণা করা হয় আমেরিকা এখন থেকে কোনও দেশের জন্য কোনও খয়রাতি করবে না। ফলে বাইডেন প্রশাসন যেভাবে বিপুল অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে, এখন সেই সব সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হল। ফলে সঞ্চয় হবে কয়েক বিলিয়ন ডলার। ইউক্রেন (Ukraine) যে অস্ত্রের ভরসায় এখনও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তার বড় অংশই আমেরিকার (USA) দেওয়া। এই সাহায্য বন্ধ হলে সাম্প্রতিককালে যেভাবে ইউক্রেন রাশিয়ার উপর ড্রোন হামলা চালাচ্ছে, তা বন্ধ হওয়ারও আশা করা যায়। যদিও সামরিক ক্ষেত্রে মিশর ও ইজরায়েলকে সাহায্যের পথ থেতে এখনই সরে আসছে না আমেরিকা, জানায় স্বরাষ্ট্র দফতর (US State Department)।

এমনিতেই ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর সুর নরম রাশিয়ার। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। দুপক্ষের সম্মানজনক আলোচনায় রাজি বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে রাশিয়ার তরফেও। ফলে রাশিয়ার জন্য নেওয়া ট্রাম্পের পদক্ষেপও ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে।