যৌন হেনাস্থার অভিযোগে ভারতের কুস্তি সংস্থার প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছিলেন ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। এই নিয়ে হয় আন্দলোনও। আর সূত্রের খবর, এই ব্রিজভূষণের বাড়িতে নাকি চলছে কুস্তি সংস্থার অফিস। এমনটাই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে কুস্তি সংস্থার এক কর্তা। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত অফিস স্থানান্তরিত করা হবে ব্রিজভূষণের বাড়ি থেকে।
এই নিয়ে কুস্তি সংস্থার ওই কর্তা বলেন, “ হরিনগরের একটি ছোট বাড়ি থেকে আমরা সমস্ত কাজকর্ম করছিলাম। আমরা চেষ্টা করছিলাম, যাতে অন্য কোনও জায়গায় কার্যালয় সরিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু তার মধ্যেই সরকারের নির্বাসন নেমে আসে। ফলে আমরা অফিস পুরোপুরি স্থানান্তরিত করতে পারিনি। বসন্ত পঞ্চমীতে আমরা নতুন জায়গায় অফিস নিয়ে যাব। নির্বাসনের জন্যই আমরা এত সমস্যায় পড়লাম। আশা করি দ্রুত নির্বাসন উঠে যাবে এবং আমরা আবার স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব।“
যদিও এই নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিজভূষণ । তিনি এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “ কুস্তি সংস্থার অফিস এখনও হরিনগরেই আছে। নতুন জায়গা খোঁজা হচ্ছে। যেহেতু বহু দিন ধরে আমি কুস্তি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাই বিভিন্ন সময়ে কুস্তিগির এবং কর্তারা আমার বাড়িতে আসেন। আর কুস্তি সংস্থার অফিস কোথায় সেটা খুব বড় বিষয় নয়। সংস্থাই ঠিক করবে অফিস কোথায় হবে। তারা অফিসের জন্য জায়গা খুঁজছে। খুব তাড়াতাড়ি নতুন অফিস হবে ভারতীয় কুস্তি সংস্থার। কে কী বলছে তাতে কিছু যায়- আসে না। আমি কোনও অন্যায় করিনি। আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে তো আমার কোনও বাধা নেই।“
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দিল্লি কোর্টে এখনও যৌন হেনস্থার মামলা চলছে। যে কারণে তাঁর সঙ্গে সরাসরি কোনও যোগাযোগ নেই ভারতীয় কুস্তি সংস্থার। কিন্তু ঘুরপথে যে এখনও তিনি সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, তা স্পষ্ট।
২০২৩-র আগস্টে কুস্তির ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং সাসপেন্ড করে দেশের কুস্তি ফেডারেশনকে। যার মূল কারণ ছিল, দীর্ঘদিন ধরে ফেডারেশনে কোনও নির্বাচিত কমিটি ছিল না। দেশের কুস্তির দায়িত্ব ছিল ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার অ্যাড হক কমিটির হাতে। ২০২৩ নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসেন সঞ্জয় সিং। তাতেও সমস্যা মেটেনি। সেই কমিটিকে বাতিল করে ক্রীড়ামন্ত্রক।
আরও পড়ুন- ঘোষণা আইসিসির টি-২০ ক্রিকেটে সেরা একাদশ, দলের নেতা রোহিত
–
–
–
–
–
–
–