গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নাবালিকার যৌন হেনস্থার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sharma) প্রশাসনের। চিকিৎসা পেতে এসে নাবালিকার যৌন হেনস্থায় (sexual assault) অভিযুক্ত হাসপাতালেরই কর্মী। এমনকি অভিযোগ জানাতে গেলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের গুরুত্ব না দেওয়া ও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসপাতাল সুপার (superintendent) নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে দেয় বলেও অভিযোগ। চাপের মুখে বাধ্য হয়ে ঘটনায় তদন্ত নেমে দুজনকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ (Assam police)।
এক নাবালিকাকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (GMCH) ইউরোলজি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে তার পরিবার ১৯ জানুয়ারি। সেখানেই শৌচাগারে গেলে সাফাই কর্মী আব্দুল রশিদ তাকে যৌন হেনস্থা (sexual assault) করে বলে অভিযোগ। পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে রশিদকে গ্রেফতার করে। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে করবী রায়কেও গ্রেফতার করা হয়।
পকসো (POCSO) আইনে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি তার বয়ান রেকর্ডও করা হয়। অন্যদিকে সিসিটিভি-র (CCTV) ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এরপরেও পুলিশের দাবি, নাবালিকার সঙ্গে অভিযুক্ত রশিদ পূর্ব পরিচিত। এই যুক্তি দেখিয়ে প্রথমেই খারিজ করে দেওয়ার চেষ্টা হয় এই অভিযোগ। গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে তথ্য প্রমাণ নষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছে।
তবে ঘটনাকে লঘু করে দেখাতে তৎপর হিমন্ত প্রশাসন প্রকাশ করে দিয়েছে নাবালিকার পরিচয়। এই অভিযোগে সরব ছাত্র সংগঠনগুলি। অভিযোগ হাসপাতালের সুপার (superintendent) যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন তাতে প্রকাশ করা হয়েছে নাবালিকার নাম। পুলিশি তদন্তে সুপারের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ দাবি করা হয়েছে পরিবারের তরফে।
–
–
–
–
–
–
–





























































































































