মহারাষ্ট্রের (maharashtra) জলগাঁওয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩। কয়েক জন এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। মৃতদের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা কেন্দ্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, যারা ট্রেনের বাঁ দিকের দরজা দিয়ে লাফিয়েছিলেন, তারা বেঁচে গিয়েছেন।
এরই মধ্যে প্রকাশ্যে শেষে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে পুষ্পক এক্সপ্রেসে (pushpak express) আগুন লাগার গুজব ছড়িয়েছিলেন এক চা বিক্রেতা! আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই ট্রেন থেকে নামার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যার জেরে দুর্ঘটনার শিকার হন ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী। তাদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৪০ জন।
জানা গিয়েছে, আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন। অনেক যাত্রী আবার আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে ভয়ে লাফ দেন। কিছুটা দূরে গিয়ে ট্রেন থামে। কিন্তু তত ক্ষণে উল্টো দিক থেকে আসা কর্নাটক এক্সপ্রেসের (Karnataka express) ধাক্কায় কয়েক জন যাত্রী ছিটকে পড়েন। কারও হাত, কারও পা কাটা পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই জায়গায় রেললাইনে একটা বড় মোড় রয়েছে। ফলে কোনও ট্রেন ওই লাইন ধরে আসছে কি না, তা সহজে ঠাওর করা যায় না। আর সেই ‘শার্প টার্ন’-এই যাত্রীরা রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফলে কর্নাটক এক্সপ্রেসের চালকের পক্ষেও তা ঠাওর করা সম্ভব হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হন যাত্রীরা।
–
–
–
–
–
–