দিল্লির বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির অন্দরে। ৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের তারকা প্রচারক হিসেবে রাজধানী দিল্লিতে অন্তত এক ডজন সভা করার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের৷ তাঁর প্রস্তাবিত এই নির্বাচনী প্রচারসূচী ঘিরে বিজেপির অন্দরে আড়াআড়ি বিভাজন তৈরি হয়েছে বলেই সূত্রের দাবি৷ গেরুয়া শিবিরেরই একটা বড় অংশ চাইছেন না যে দিল্লিতে এসে এই ভাবে প্রচার করুন যোগী আদিত্যনাথ৷ তাদের ভয় হচ্ছে দিল্লির মত জায়গায় বেশি উগ্র হিন্দুত্ববাদ দেখানো হলে আম আদমি পার্টিকেই বাড়তি সুবিধে প্রদান করা হবে৷
অন্যদিকে, দলেরই অন্য একটি অংশের দাবি হল, দশ বছরের আপ শাসন থেকে বাইরে বেরোতে হলে যোগী আদিত্যনাথের মত হিন্দুত্ববাদী নেতাকে সামনে রেখেই প্রচারে নামা ভালো৷ এই মতবিরোধের মাঝে শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে কটি সভা করেন যোগী আদিত্যনাথ, সেদিকেই এখন চোখ সবার৷
অন্যদিকে, দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচারে যেভাবে কার্যত পিছনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে, তা দেখার পরেও গেরুয়া শিবিরের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ দেশের সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ গত বছরের শেষ দিকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে তাঁর করা বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রীতিমত চাপে পড়ে যায় গোটা দল৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত উদ্যোগী হতে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে৷ এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহকে প্রচারের মুখ করলে দলিত ভোট ব্যাঙ্ক-র কাছে ভুল বার্তা যাবে, এমনটাই মনে করছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বর একটা বড় অংশ৷ এই নীতিরই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কিছুটা আড়াল করে চলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলেই দলীয় সূত্রের দাবি৷
আরও পড়ুন – নেতাজির ‘মৃত্যুদিন’ উল্লেখ করে পোস্ট! রাহুলকে ‘অর্বাচীন’ বলে কটাক্ষ ফব’র
_
_
_
_
_
_
_
_