আরজি কর মামলায় নির্যাতিতার বাবা বেশ কয়েকটি দাবি করেছেন। সেই দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেছে শিয়ালদহ আদালত। নিম্ন আদালতে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যেই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে লিখিতভাবে কয়েকটি বিষয় দেওয়া হয়েছিল। রায়ের কপিতে সেই বিষয়গুলির ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। তিনি জানিয়েছেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ২০২৪ এর ৯ অগস্ট নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ নিজে থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। শুধুমাত্র সেই কারণে তাকে দোষী বলা যায় না। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। সেটিকে সরাসরি ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন বিচারক।
রায়ের যে কপি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বিচারক বলেছেন, অভিযোগকারী একটি ভিত্তিহীন প্রশ্ন করেছেন যে নির্যাতিতার বাবা ও মায়ের সঙ্গে দেখা করতে তৎকালীন প্রিন্সিপাল নিজের চেম্বার থাকলেও, তাদের সঙ্গে দেকা করেন নি। নির্যাতিতার বাবার দাবি ছিল, কয়েকজন তাকে প্রিন্সিপালের ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা সেই প্রস্তাব মানতে চাননি।শিয়ালদহ আদালতের বিচারক আরও বলেছেন, নির্যাতিতার পরিবারের দাবি ছিল যে তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ যেন এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বিষয়টা প্রিন্সিপালের উপরে কলঙ্ক ফেলতে পারে না যে তিনি দোষী। তবে শুধু সেটাই নয়, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে উত্থাপন করা আরও একটি বিষয়কে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। বিচারক আরও বলেছেন, অভিযোগকারীদের আইনজীবী দাবি করেছেন যে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার কাজটা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে করা উচিত ছিল। তার মতে, আমার মনে হয় যে এটা ভিত্তিহীন প্রশ্ন।
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর দাবির প্রেক্ষিতে বিচারক বলেছেন, যে তথ্যপ্রমাণ এবং যে বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে অভিযোগকারীর আইনজীবী উপযুক্তভাবে প্রশ্নগুলি সামনে আনতে পারেননি। কয়েকটি অলীক এবং কাল্পনিক প্রশ্ন করা হয়েছিল।
–
–
–
–
–
–
–
–