রাজ্য সরকার সব রকমভাবে রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নত থেকে উন্নততর করার প্রয়াস করে চলেছে। এরপরেও রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে একাধিক চিকিৎসক, জুনিয়র চিকিৎসকের আখের গোছানোর ছবি আর জি কর নিয়ে আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Medinipur Medical College) ঘটনায় প্রসূতি মৃত্যুতে চিকিৎসকদের গাফিলতি বদনাম করেছে রাজ্য সরকারকে। গাফিলতির জন্য সাসপেন্ড (suspend) হয়েছেন ১৩ চিকিৎসক ও জুনিয়র চিকিৎসক। রাজ্য সরকারের সাসপেনশনের বিরোধিতা করে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ এক চিকিৎসক।
মেদিনীপুরের ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) জানান, কোনওভাবেই চিকিৎসকদের গাফিলতির দায় রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামোর উপর পড়বে না। যারা অন্যায় করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একদিকে স্যালাইন (saline) ও ওষুধের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে গাফিলতির তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তদন্তের আগে সাসপেন্ড (suspend) করা হয়েছে কয়েক ধাপে ১৩ চিকিৎসককে। তার মধ্যে অন্যতম অ্যানাস্থেসিস্ট (Anesthesist) পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাসপেন্ড (suspend) হওয়ার পরে অ্যানাস্থেসিস্ট (Anesthesist) পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি তিনি অস্ত্রোপচারের আগে অ্যানাস্থেসিয়া (anesthasia) করেছিলেন। ফলে এই ঘটনায় তাঁর কাজের অভিঘাত নেই। তাঁর অ্যানাস্থেসিয়ার জন্য রোগীর মৃত্যু হয়নি, এমন দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন পল্লবী। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর আবেদনের শুনানিতে সায় দেয় হাইকোর্ট। সোমবার সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
–
–
–
–
–
–
–
–