অনুপ্রবেশকারীদের গুলি করা হবে! বক্সার জঙ্গলে এয়ারফোর্সের নোটিশ নিয়ে কড়া বার্তা ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর

0
5

আলিপুরদুয়ারের (Alipurduwer) গেস্ট হাউসের দেওয়ালে এয়ারফোর্সের একটি পোস্টার (Poster) দেখে প্রশাসনিক সভায় গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে তাঁর হুঙ্কার, বনদফতর, ডিএম, এসপি কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে কীভাবে এমন নোটিশ দিতে পারে? এই লাইনটা ভীষণ আনহেলদি। এরকম নোটিশ দেওয়া যায় নাকি? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি পরিকল্পনা করে কেউ একাজ করে থাকে, তাহলে এমন ভাবার কারণ নেই যে আমরা ছেড়ে দেব। এই ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।

এদিন আলিপুরদুয়ারে (Alipurduwer) এয়ারফোর্সের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন, আপনারা কি নিজেদের ভগবান মনে করেন? তা না হলে এ ধরনের নোটিশ এর মানে কী? হনুমানগুলোকে থ্যাঙ্কস, ভাগ্যিস ওরা ছিঁড়ে দিয়েছিল! মুখ্যমন্ত্রীর রহস্য নিরসন করে বলেন, এয়ারফোর্সের পোস্টারে লেখা, পাচারকারীদের গুলি করে মারা হবে, এটা কোনও ল্যাঙ্গুয়েজ হল? আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটা লেখা হল না কেন? প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই নিজের মোবাইলে তোলা ছবি মুখ্যসচিবকে দেখান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বলেন, এখানে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের কে আছেন? মনোজ লিসেন টু মি ভেরি কেয়ারফুলি। আমি যেখানে আছি সেখান থেকে এই ছবি তুলে আনলাম।

এরপরই একে একে আলিপুরদুয়ারের বন দফতরের (Forest Department) একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, অনেকে জানে না, ভুল করে ফরেস্টের রাস্তা দিয়ে ঢুকে পড়েন। তাঁদের ওপর অত্যাচার করা হয়। এটা কেন হবে? মনে রাখবেন বন, অরণ্য, জঙ্গলের প্রতি মানুষেরও অধিকার রয়েছে। মুখ্যসচিব উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অনেকে পিকনিক করতে এসে আলিপুরদুয়ারে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা মিটিং করেছি। তবে এটা হওয়া ঠিক ছিল না।

মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, জেলার সঙ্গে রাজ্যের বন দফতরের সমন্বয় বাড়ানোর। সপ্তাহে একদিন ভিডিও কনফারেন্সের নির্দেশও দেন তিনি। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কে বাড়িতে হোম স্টে করবে, সেটা তার সিদ্ধান্ত। এখানে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের কোনও আপত্তি থাকতে পারে না।