সম্প্রতি শেষ হয়েছে খো খো বিশ্বকাপ। সেখানে দাপট দেখায় ভারতের পুরুষ এবং মহিলা দল। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। আর সেই দলের অংশ হুগলির চুঁচুড়ানিবাসী সুমন বর্মন।
সুমনের বাড়ি হুগলির চুঁচুড়া মিলন পল্লীতে। খুব ছোটো থেকেই খেলাধুলা পারদর্শী ছিলো সুমন। পাড়ার বাঘাযতিন মাঠে প্রথম খো খো খেলা শুরু। ভারতের হয়ে সাফল্য পেলেও, যাত্রা পথ সহজ ছিল না সুমনের। সুমনের বাবা রামদেব বর্মন দিনমজুর মা সুজাতা বর্মন পরিচারিকার কাজ করেন। তাদের দুই ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে মুক বধির। মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। তার পড়াশোনা সুমনও কলেজে পড়ে।পাঁচ জনের সংসার চালাতে খুব কষ্ট করেন দুজনে।একটা টালির চালের ঘর। তাতে কোনো ভাবে দিন গুজরান হয়। তবু ছেলে মেয়ের খেলায় উৎসাহ দেন। তাইত ছেলের সাফল্যে খুশি রামদেব বর্মন এবং সুজাতা দেবি। ছেলের খেলা দেখতে দক্ষিণ ভারত থেকে ফেরেন রামদেব বর্মন।
পাড়ায় সুমনের বন্ধুরা বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার জন্য জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়েছিল। ভারত জিতছে,সুমন ভালো খেলেছে খুশি সবাই। কিন্তু বিশ্বকাপ জিতিয়েও সুমনের বাড়ির অবস্থা ফিরবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় সুমনের পাড়া প্রতিবেশি। তারা চান একটা চাকরি পাক সুমন। এই নিয়ে সুমনের বাবা রামদেব বর্মন বলেন, “আমরা খুব গরীব তাই অন্য খেলায় ছেলে মেয়েকে দিতে পারিনি। খো খো খেলেই তারা মুখ উজ্বল করছে। কিন্তু সংসার টানতে তাদের কষ্ট করে যেতে হচ্ছে।“ রামদেব বাবুর আশা ছেলে বিশ্বকাপ জিতেছে এবার সেই কষ্ট লাঘব হবে তাদের। এই নিয়ে মিলন পল্লীর বাসিন্দারা জানান,সুমনের একটা চাকরির প্রয়োজন। ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা হলে যে উন্মাদনা চোখে পড়ে খো খো খেলায় তা নেই। তবু পাড়ার গর্ব সুমন পরশু বাড়ি ফিরলে উৎসব হবে ব্যান্ডপার্টি হবে মিলন পল্লীতে।“
সম্প্রতি দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে ১৩-১৯ জানুয়ারী বসেছিল প্রথমবার খো খো বিশ্বকাপের আসর।পুরুষদের ২০ টি দেশ মহিলাদের ১৯ টি দেশ তাতে অংশ নেয়। পুরুষ মহিলা দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ান হয় ভারত।
আরও পড়ুন- চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট লক্ষ্য মোলিনার
–
–
–
–
–
–
–
–