মেঘালয়ের ডাউকি নদী পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সইফের হামলাকারী শরিফুল !

0
2

সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় মূল হামলাকারীকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে মুম্বই পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রায় সাত মাস আগে মেঘালয়ের কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ডাউকি নদী পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে শরিফুল ইসলাম শেহাজাদ। দিব্যি চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা ঘুরে কয়েক সপ্তাহ কাটিয়ে দেন এবং একটি সিম কার্ড পেতে সেখানকার বাসিন্দার একটি আধার কার্ড ব্যবহার করেছিলেন তিনি। এরপর চাকরির সন্ধানে মুম্বই চলে যান।

পুলিশের দাবি, কয়েক সপ্তাহ পশ্চিমবঙ্গে থেকে আধার কার্ড তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। তবে সে চেষ্টা তার সফল হয়নি। এরপর একটি ভারতীয় সিমকার্ড কেনেন তিনি। পুলিশের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের এক মহিলার নামে ওই সিমকার্ড হাতে পান শরিফুল। মুম্বইয়ে গিয়ে একের পর এক কাজের সন্ধান করতে থাকেন। সেখানেই কাজের সন্ধান করতেন যেখানে নাগরিকত্বের প্রমাণের কোনও নথি দরকার হত না।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের দ্বারা ব্যবহৃত সিম কার্ডটি পশ্চিমবঙ্গের ‘খুকুমনি জাহাঙ্গির সেখ’-এর নামে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। শরিফুল ইসলাম পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তার দুই ভাই আছে এবং চাকরির সন্ধানে ভারতে এসেছেন। তিনি দাবি করেন যে, ভারতে প্রবেশের জন্য মেঘালয়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ডাউকি নদী পার হয়েছিলেন। ভারতে, তিনি বিজয় দাস নামে একটি জাল পরিচয় ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ।

জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল ইসলাম প্রথমে দাবি করেন যে তিনি কলকাতার বাসিন্দা। পুলিশ তার স্মার্টফোনে তল্লাশি চালিয়ে বাংলাদেশের নম্বরে বেশ কয়েকটি কল দেখতে পায়। তিনি বাংলাদেশে তার পরিবারের সদস্যদের কল করার জন্য মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সইফ আলি খানের আবাসনে ঢোকার আগে শরিফুল ইসলাম বলিউডের আরেক সুপারস্টারের পাশের একটি বাংলোতে প্রবেশের ব্যর্থ চেষ্টা করেন। সেখানে কুকুরের ভয়ে তিনি পালিয়ে যান। অনুপ্রবেশের চেষ্টা কিছু সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল, তবে ছবিগুলো খুব স্পষ্ট নয়।