জাঁকিয়ে শীত পড়তে না পড়তেই ফের বাধা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পূবালী হাওয়ার সংঘাতের ফলে আবহাওয়ায় বড়সড় বদল। দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যে তাপমাত্রা একটু বেড়েছে।
সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ০.৫ ডিগ্রি কম। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রায় বড় কোনও পরিবর্তন নেই। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রির আশপাশে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়ার গতি বাধা পাচ্ছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। এর পরিবর্তে পূবালী বাতাসে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে, যা তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক।
একদিকে যখন ক্রমশ তাপমাত্রা বাড়ছে বাংলায় অন্যদিকে শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে রাজধানী দিল্লি। এরইমধ্যে আগামী ৫ দিন সারা দেশে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কিছু রাজ্যে ঘন কুয়াশার সতর্কতাও রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক আগামী কয়েকদিনের জন্য কোন রাজ্যগুলির জন্য আবহাওয়া দফতর কী সতর্কতা জারি করেছে?
আগামী ৫ দিন হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার নিম্নাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা বাড়বে এবং কুয়াশা কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শ্রীনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গুলমার্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল -১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পহেলগামে ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জম্মু শহরে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কাটরাতে ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উপকূলীয় তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কারাইকালে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। কেরল এবং মাহেতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলীয় তামিলনাড়ু, পুদুচেরির বিচ্ছিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামীতে অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিম রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পূর্ব রাজস্থান, বিহার, ওড়িশায় ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
–
–
–
–
–
–