সঞ্জয় রায়ের মতো অপরাধীর শাস্তি ফাঁসিই, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে সরব গোটা বাংলা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছিলেন। শনিবার দোষী সাব্যস্ত (conviction) করার সময় আদালতও সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। সোমবার বেলা ১২.৩০ টায় জানা যাবে চূড়ান্ত রায় (verdict)। অপেক্ষা মাত্র কয়েক ঘণ্টার।
যদিও এর মধ্যে কিছু মানুষ অন্যরকম বলার চেষ্টা করছেন। অনেক যদি-কিন্তু প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করছেন। বলার চেষ্টা করছেন সঞ্জয় (Sanjay Rai) একা করতে পারে না এই কাজ। সেখানে রাজ্যের শাসক দলের প্রশ্ন, তাহলে তারা সবকিছু সিবিআই (CBI) বা সুপ্রিমকোর্টের (Supreme Court) সামনে এতদিন কেন তুলে ধরেননি। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) যখন গোটা বিচার প্রক্রিয়া চলেছে তখন সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মনিটরিং (monitoring) করছে। তারা তদন্তের অগ্রগতিতে সম্মতি জানিয়েছে। যারা বলছেন এটা হলে ওটা হতে পারতো, এটা কেন হল না, সিবিআই-এর উচিত তাদের ডেকে জেরা করা।
যে সঞ্জয় (Sanjay Rai) গোটা বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন একবারও অপরাধের ক্ষমা ভিক্ষা করেনি, তার সপক্ষে বলার চেষ্টা করছেন এক শ্রেণীর মানুষ। এখানেই কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, তাহলে তারা সঞ্জয়ের মত মানুষকে নিজেদের বাড়ি নিয়ে এগিয়ে রাখতে পারেন। কারণ তাদের দাবি অনুযায়ী, সঞ্জয় একা কিছু করতে পারে না।
সোমবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য তথা দেশ। নারকীয় অপরাধে সঞ্জয় যে দোষী তা নিয়ে সন্দেহ নেই আদালতের। কলকাতা পুলিশের তদন্তে সিবিআই-এর মান্যতা এবং সিবিআই তদন্তে সন্তোষ প্রকাশ নিম্ন আদালতের। সোমবার সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য শোনার সম্ভাবনা বিচারক অনির্বাণ দাসের (Judge Anirban Das)। এরপরই ঘোষণা হবে আর জি কর ধর্ষণ খুন মামলার সাজা (verdict)।
–
–
–
–
–
–
–