প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh) চত্বরে বিধ্বংসী আগুন। রবিবার দুপুরে হঠাৎই আগুন ছড়ায় সেক্টর ১৯ (sector-19) এলাকায়। একের পর এক দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলের দিকে ছুটতে দেখা যায়। তবে তার মধ্যেই একের পর এক তাবু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফ থেকে হতাহত নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। শাস্ত্রী ব্রিজ ও রেলব্রিজের মাঝের এলাকায় খালি করে দেওয়া হয় সব আখড়া।
রবিবার বিকেল ৪টের কিছু আগে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) রেলব্রিজের নিচে যেখানে গীতাপ্রেসের তাবুগুলি ছিল, সেখানে সিলিন্ডার (cylinder) ফাটার আওয়াজ পাওয়া যায়। দ্রুত সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন, জানান এডিজি ভানু ভাস্কর (Bhanu Bhasker, ADG)। দ্রুত শুরু হয় এলাকা থেকে পুণ্যার্থীদের বের করে আনার কাজ। অন্যদিকে আশেপাশের তাবুগুলিতে দ্রুত পালানোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দাহ্য পদার্থ ও গঙ্গার হাওয়ার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ও হুড়োহুড়িতে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিগত প্রায় এক মাস ধরে দেশের নজরে থাকা মহা কুম্ভে (Maha Kumbh) আগুন লাগার মতো ঘটনায় তটস্থ হয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তার মধ্যেই কুম্ভ মেলা প্রাঙ্গন খালি করার কাজ শুরু করে পুলিশ। ১৫টি দমকলের গাড়ি (fire tender) আগুন নেভানোর কাজ করে। তবে একটি নির্দিষ্টি এলাকার মধ্যে আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। গঙ্গা থেকে জলের সরবরাহ অফুরন্ত হওয়ায় আগুন নেভাতে খুব বেশি সময় লাগেনি প্রশাসনের।
আগুন সম্পূর্ণ নেভার পরই ঘটনাস্থলে আসেন আদিত্যনাথ। স্থানীয় এডিএম বিবেক চতুর্বেদী (Vivek Chaturvedi) জানান, মহা কুম্ভ চত্বরে ৭০-৮০টি আখড়া (hut) ভষ্মীভূত হয়ে যায়। এছাড়াও আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ৮-১০টি তাবুও। তবে কীভাবে সিলিন্ডার ফাটল বা আগুন লাগার উৎস (source of fire) সেটাই কি না, খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয় প্রশাসনের তরফে।