মালদহের কাউন্সিলর দুলাল সরকার (Dulal Sarkar) খুনে ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার শুটার মহম্মদ আসরার। ফের একবার বিজেপি ও তার সহযোগী রাজ্যগুলি কীভাবে দুষ্কৃতীদের ডেরা হয়ে উঠেছে তার প্রমাণ মিলল এই গ্রেফতারিতে। ধৃত আসরার বিহারের (Bihar) বাসিন্দা। তাকেই খুনের জন্য ভাড়া করা হয়। ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। ধৃতকে জেরা করে এই ঘটনায় আসল মাথা কারা, তার সন্ধান চালাবে পুলিশ। দুলাল সরকারের মৃত্যুতে জিরো টলারেন্সে তদন্ত ও দোষীদের উপযুক্ত সাজার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে প্রতিবেশী রাজ্য বিহার যেভাবে দুষ্কৃতীদের মদতদাতা হয়ে উঠেছে, তাতে রাজ্যের পুলিশের কাছে এই ধরনের অপরাধীদের ধরা আরও চ্যালেঞ্জের হয়ে গিয়েছে।
দুলাল সরকার খুনে মূল অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে আগেই গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। সেই সঙ্গে এলাকার দুষ্কৃতী স্বপন শর্মা, যার সাহায্যে খুনের ঘটনা সহজ করা হয়েছিল, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই খোঁজ চলছিল গুলি চালানোয় অভিযুক্তদের। পোস্টার ছাপিয়ে তাদের অনুসন্ধানও শুরু করে মালদহ পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুলাল সরকারের খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (Rajiv Kumar, DGP) দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করে খুনের মূল রহস্য উদ্ঘাটনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পুলিশকে অপরাধী ধরতে কার্যত খোলা হাতে নির্দেশ দেন তিনি।
পুলিশের দাবি, অন্যতম বন্দুকবাজ (shooter) মহম্মদ আসরার বিহারের বাসিন্দা। দুলাল সরকারের খুনের পরে গা ঢাকা দেয় আসরার। তিন রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে থাকে সে। ক্রমশ নিজের অবস্থান বদল করে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত বিহারেরই পূর্ণিয়া (Purnia) থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এখনও একাধিক অপরাধীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
–
–
–
–
–
–
–
–