সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা এসে হামলা চালাচ্ছে ভারতীয় কৃষকদের উপর। অরক্ষিত সীমান্তে মালদহে (Maldah) শুকদেবপুরে বাংলার কৃষকদের রক্ষা করার জন্য কোথাও নেই বিএসএফ (BSF)। হাজার হাজার বাংলাদেশির জমায়েত হয়ে যাওয়ার পর হাতে গোনা কিছু বিএসএফ আসছেন কর্তব্য করতে। গত কয়েকদিন ধরে এটাই রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুকদেবপুরে (Sukdebpur)। তাই এবার বিএসএফকে ভরসা না করে নিজেরাই দিন-রাত নিজেদের জমি, জায়গা পাহারায় শুকদেবপুরের মানুষ। নিয়মরক্ষা করতে এই এলাকায় জওয়ান বাড়ানোর পরিকল্পনা নিলেও তার কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি। ফলত, রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে ফের একবার সীমান্তে বিএসএফের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেওয়া হল।
অসম (Assam), ত্রিপুরার (Tripura) পর দিল্লি-মুম্বইতে বাংলাদেশের নাগরিকদের খোঁজ পাওয়া যাওয়ায় বিজেপির নেতারা হঠাৎ সরব। সীমান্ত রক্ষায় ব্যর্থ বিএসএফ বা অমিত শাহর দফতরের ব্যর্থতা ঢাকতে ব্যস্ত সবাই। অথচ বিএসএফের (BSF)ব্যর্থতার সাক্ষ্য বহন করছে বাংলা-বাংলাদেশ সীমান্তের একের পর এক গ্রাম। তার জ্বলন্ত উদাহরণ শুকদেবপুর (Sukdebpur)। টানা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাঁটাতারের কাজ করতে ব্যর্থ বিএসএফ। এরপর রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে গিয়েছে মাঠের ফসল, জমির আমগাছ। দিনের আলোতেও ভারতীয়দের উপর পাথরবাজি (stone pelting) করতে বাকি রাখেনি বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা। মার খেতে হয়েছে দুর্বল বিএসএফকেও।
অথচ বিএসএফ এখনও শুকদেবপুর নিয়ে আলোচনার পথেই রয়ে গিয়েছে। তাই এবার নিজেদের প্রতিরক্ষা নিজেরাই দেওয়া শুরু করলেন শুকদেবপুরের মানুষ। বিএসএফের পক্ষ থেকে তাঁদের মাঠে চাষের কাজ (agricultural work) করতে বারণ করা হয়েছে। অথচ চাষ না করলে বিপদে পড়বে রবিচাষ। তাই নিজেরাই পাহারা (guard) দিয়ে নিজেদের জমি বাঁচানোর পথে তাঁরা। বিএসএফের দায়িত্ব মনে করিয়ে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, গোটা সীমান্ত বিএসএফের পাহারা দেওয়ার কথা। রাজ্য পুলিশ বা জেলা পুলিশের কাজ নয় সেটা। যদি সীমান্ত থেকে একজনও অবৈধ লোক ঢোকে তার জন্য দায়ী বিএসএফ।
–
–
–
–
–
–
–
–