পুলিশের উপর গুলির জবাব: সাজ্জাকের মৃত্যুর পর গ্রেফতার অস্ত্র সরবরাহকারী

0
3

গোয়ালপোখরে পুলিশের উপর হামলা চালানো আসামি সাজ্জাক শেখের মৃত্যুতে গোটা ঘটনা যে ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে না, বুঝিয়ে দিল রাজ্য পুলিশ (West Bengal)। ফেরার সাজ্জাককে জীবিত ধরা সম্ভব না হলেও কীভাবে অপরাধীর হাতে অস্ত্র এলো ও কীভাবে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে দেশ ছাড়ার সাহস দেখাতে পারল সাজ্জাক, তার রহস্য সন্ধানে তৎপর রাজ্য পুলিশ। সেই সূত্রে গ্রেফতার হল সাজ্জাককে অস্ত্র সরবরাহ (arms smuggler) করা দুষ্কৃতী হজরত শেখ।

রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজিব কুমার গোয়ালপোখরের (Goalpokhar) ঘটনার পরে পুলিশের উপর হামলাকারীদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পলাতক আসামি সাজ্জাককে ধরতে গেলে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। তবে কীভাবে পুলিশের উপর বন্দুক নিয়ে হামলা, সেই জট ছাড়াতে একাধিক ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ, এই ইঙ্গিত এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম (Javed Shamim, ADG) শনিবারই দিয়েছিলেন। সেই মতো রবিবার ভোরে গলসিয়াপোখর এলাকায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয় হজরত।

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে গোয়ালপোখর (Goalpokhar) সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পালানোর চেষ্টা যে করছিল সাজ্জাক, সেই পালানোয় সাহায্য করছিল হজরত। যদিও পরে তদন্তের সূত্রে বেরিয়ে আসে এই হজরত একজন অস্ত্র পাচারকারী (arms smuggler)। তার থেকেই অস্ত্র নিয়ে সাজ্জাকের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল আব্দুল হোসেন নামে সাজ্জাকের সহযোগী, এমনটাই অনুমান পুলিশের। এখনও আব্দুলের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে পুলিশ কী করতে পারে, তার নিদর্শন গোয়ালপোখরের ঘটনা, দাবি শাসকদলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আইনের মধ্যে থেকে কাজ করে। পুলিশ কী করতে পারে সেটা গোয়ালপোখরের ঘটনাতেও দেখিয়েছে। পুলিশকে গুলি করে জখম করে বাংলাদেশে পালাতে যায়, তখনই পুলিশই গুলি করে তাকে।