এখনই যুদ্ধবিরতি নয়! গাজায় হামলা থামার আগে থমকে গেলেন নেতানিয়াহু

0
1

যুদ্ধবিরতি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকের পরে গাজার উপর হামলা থামাতে রাজি হয়েও হঠাৎ পিছিয়ে এলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (Israel Defense Force) পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল গাজার (Gaza) উপর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা জারি রাখছে তারা। কারণ হিসাবে জানানো হয়, যতক্ষণ না পণবন্দি ইজরেলীয়দের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে, ততক্ষণ হামলা থামাবে না ইজরায়েল (Israel)। এরপর তিন পণবন্দিকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে শুরু হয় যুদ্ধবিরতি।

হামাসকে (Hamas) খতম করার লক্ষ্যে এগোতে আগ্রাসী হয়ে ওঠা নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিতে মোটেও রাজি ছিলেন না। ইজরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ারও পরও শনিবার ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও তাঁর দেশ জঙ্গি নিধনে থেমে থাকবে না। ইজরায়েলের মনোভাবের জন্যই বদলেছে গাল্ফ দেশগুলির (Gulf countries) চেহারাই। সেই সঙ্গে নাম না করে হামাসের মদতদাতা যে অনেক দেশই ছিল, তাও উল্লেখ করেন তিনি।

তবে যুদ্ধবিরতি সকাল ৮.৩০ মিনিট থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই পিছিয়ে গেল ইজরায়েল (Israel)। কিন্তু যুদ্ধবিরতির শর্ত ছিল আগেই হামাসের পক্ষ থেকে পণবন্দি (hostages) ইজরেলীয়দের নামের তালিকা পাঠানো হবে। কিন্তু হামাস শর্ত মানেনি। ফলে হামলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইডিএফ (IDF)। অন্তত ৩৩ জন ইজরেলীয় নাগরিক পণবন্দি (hostage) এখনও গাজায় (Gaza)। সেই মতো যুদ্ধবিরতিতে তাদের উদ্ধারের পরিকল্পনা ছিল নেতানিয়াহুর। তেমনটাই শর্তও ছিল। কিন্তু হামাস শর্ত মানেনি, দাবি করেই যুদ্ধবিরতি (cease fire) শুরুর পথে গেল না ইজরায়েল।

যদিও হামাসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় প্রযুক্তিগত সমস্যায় তালিকা পাঠানো আটকে যায়। যদিও তাদের যুক্তি মানতে নারাজ ইজরায়েল (Israel)। ইতিমধ্য়েই বুধবার যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের পর থেকে তা লাগু হওয়া পর্যন্ত গাজায় মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের, দাবি হামাসের। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে তিন পণবন্দি (hostage) ইজরেলীয়কে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিলে রবিবারই শুরু হয় যুদ্ধবিরতি (cease fire)।