২২ শে জানুয়ারি ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস! আরএসএস প্রধানের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে রবিবার হুগলি জেলার মানকুন্ডু সার্কাস মাঠ থেকে হাওড়ার বেলুড় পর্যন্ত বাইক মিছিল করল বাংলা পক্ষ। মিছিলের শেষে পথসভা করাও হয়। এছাড়াও মিছিল থেকে বাংলার বেসরকারি কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন চালু করার দাবি সহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায় এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, মনন মন্ডল, এমডি. শাহিন, হুগলি জেলার সম্পাদক দর্পণ ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগণা(শিল্পাঞ্চল) জেলার সৌভিক মৈত্র, হাওড়া জেলার সম্পিদক মিঠুন মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
বাংলা পক্ষ সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, “১৫ই আগস্ট অর্থাৎ ভারতের স্বাধীনতার দিনটিকে অস্বীকার করে আরএসএস লক্ষ লক্ষ বাঙালি বিপ্লবী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করেছে। ভারত স্বাধীন হয়েছে বাঙালি জাতির রক্তের বিনিময়ে। এর জন্য হাজার হাজার বাঙালি বিপ্লবী প্রাণ দিয়েছে, আন্দামান সেলুলার জেল সহ বিভিন্ন জেলে বন্দি থেকে অত্যাচার, নিপীড়ন সহ্য করেছে। স্বাধীনতা দিবস অস্বীকার করা মানে তাদের আত্মত্যাগ এবং তাদের ওপর হওয়া অত্যাচার নিপীড়নকে অস্বীকার করে তাদের অপমান করা। বাংলা পক্ষ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অসম্মান মানবে না।”
বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি জানান, “আরএসএস শুরু থেকেই বাঙালি বিদ্বেষী, এরা বাঙালি বলতে বাংলাদেশী বোঝে। তাই এরা বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্ত-ঘাম-জীবনের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামকে অস্বীকার করে। আমরা সাধারণ বাঙালিদের বাংলা ও বাঙালি বিরোধী আরএসএস-এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করছি। এই আন্দোলন আমরা বাংলার গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দেব। আশার কথা হল, সাধারণ বাঙালি আরএসএস ও বিজেপির বাঙালি বিরোধী স্বরূপ দেখতে পারছে।”
বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য মনন মন্ডল জানান, “আরএসএস কোনদিন ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেনি। আরএসএস বহু দশক স্বাধীনতা দিবসের দিন ভারতের রাষ্ট্রীয় পতাকা উত্তোলন করেনি। এদের পূর্বসূরীরা সুভাষচন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরে ব্রিটিশ সেনায় লোক নিয়োগ করাত। বাঙালি জাতি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছে আর এরা ব্রিটিশ সেনার লোক নিয়োগ করিয়েছে, আরএসএস বাংলা তথা ভারতের শত্রু। এদের বাংলার পবিত্র মাটি থেকে মুছে দিতে সর্বাত্মক লড়াই চলবে।” এই মিছিলে তিনশতাধিক সদস্য, সহযোদ্ধা অংশ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন- ডোমকলে পুলিশ ‘কোপানো’র ঘটনায় গ্রেফতার আরও ১, এখনও পলাতক মূল অভিযুক্ত রানা
_
_
_
_
_
_
_