সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ আটকাতে কতটা ব্যর্থ বিএসএফ (BSF) তার আরও এক নজির মিলল শনিবার। বিএসএফের অপারদর্শিতার জেরে কলকাতা শহরেই শুধুমাত্র বাংলাদেশের (Bangladesh) নাগরিকরা নয়, এবার খোঁজ মিলল তিন মায়ানমারের (Mayanmar) বাসিন্দার। এতদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী থেকে বিজেপির নেতারা বারবার বাংলার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের গল্প শুনিয়ে এসেছেন। কিন্তু বাংলা থেকে বহুদূরে মায়ানমারের নাগরিকরা কী করে শিয়ালদহে (Sealdah) এসে পৌঁছালো, উঠেছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে প্রমাণিত সীমান্ত রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যর্থতাই প্রমাণিত।
শনিবার শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah station) প্ল্যাটফর্মে এক ব্যক্তি ও তার সঙ্গে দুই নাবালিকাকে ইতঃস্তত ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় টিকিট পরীক্ষকদের। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে কোনও টিকিট পাওয়া যায়নি। এরপরই খবর দেওয়া হয় শিয়ালদহ জিআরপিকে (GRP)। জিআরপির আধিকারিকরা তাদের তল্লাশি চালিয়ে কোনও ভারতীয় পরিচয় পত্র (Indian identity proof) পায়নি। বরঞ্চ তাদের থেকে উদ্ধার হয় মায়ানমারের (Mayanmar) পরিচয়পত্র। ধৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল রহমান বলে জানা যায়। তার দাবি, দিল্লিতে (Delhi) যাওযার জন্য শিয়ালদহে এসেছিলেন তিনি।
এরপরই দুই নাবালিকা সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তুলে দেওয়া হয় জিআরপি (GRP) থানার পুলিশের হাতে। ঘটনায় নারী পাচার সংক্রান্ত কোনও যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে স্বাভাবিকভাবেই শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah station) মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে মায়ানমারের বাসিন্দাদের আনাগোনা সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে শিয়ালদহের নিরাপত্তা নিয়েও।
–
–
–
–
–
–
–
–